অঙ্গরাজ্যগুলোকে মিটিয়ে দেওয়া হবে জিএসটি থেকে প্রাপ্য বকেয়া। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যগুলোকে চিঠি পাঠালো অর্থ মন্ত্রক। দুদিন আগেই অর্থনীতির বেহাল দশা ও কম জিএসটি আদায় ভগবানের কর্ম বলে দায় সেরেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর সেই সাংবাদিক বৈঠক দেখে এমন মন্তব্যই করেছেন বিরোধিরা। তারপর থেকে প্রাপ্য চেয়ে আরও সুর চড়িয়েছ অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব এবং ব্যয় সচিব পয়লা সেপ্টেম্বর রাজ্যগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করবেন। দুটি বিকল্পের ওপর এই বৈঠক হবে। এক) রাজ্যগুলোর কোন পরিষেবা বকেয়া থাকবে না আর দুই) রাজ্যগুলোকে আসল পরিশোধ করতে হবে না।
রাজ্যগুলোকে পাঠানো চিঠিতে অর্থ মন্ত্রক লিখেছেন, "ভারত সরকার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিজির প্রতিশ্রুতি পূরণে রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন ক্ষতিপূরণ সেস বাবদ প্রাপ্য টাকা রাজ্যগুলোকে মিটিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর মন্ত্রক।"
এদিকে, ২৭ অগাস্ট জিএসটি পরিষদের বৈঠক ছিল। তার আগে নীতি নির্ধারণে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বৈঠকের আগে ক্ষতিপূরণ আদায়ে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। বুুধবার এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেন সনিয়া গান্ধি। পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটা যৌথ মঞ্চ তৈরি করে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে এই কৌশল কংগ্রেস সভানেত্রীর। এমনটাই সূত্রের খবর। করোনা আবহ জিএসটি খাত থেকে রাজ্যগুলোকে কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।
সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল জিএসটি পরিষদ। প্রতি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এই পরিষদের সদস্য। তাঁদের থেকেই মুখ্যমন্ত্রীরা রাজ্যখাতে ১৪% দাবিপূরণে উদ্যোগ নিয়েছিল।