ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদ। বৃহস্পতিবারই সেখানকার কুলগাম জেলার এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা (Jammu and Kashmir BJP leader shot dead) করল জঙ্গিরা। শ্রীনগর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুলগামে আচমকাই সাজাদ আহমেদের উপর হামলা চালায় একদল জঙ্গি। কুলগামের বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি সাজাদকে (Sajad Ahmad Shot Dead) লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে চতুর্থ বিজেপি নেতার উপর হামলা (Jammu and Kashmir Terror Attack) চালালো জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে কুলগামেরই আরেক পঞ্চায়েত সদস্য তথা বিজেপি নেতা আরিফ আহমেদ খানকেও হত্যা করে জঙ্গিরা।
গত মাসে, বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি ও তাঁর বাবা এবং ভাইকে বান্দিপুর জেলায় খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওয়াসিম বান্দিপুরের জেলার বিজেপি প্রধান ছিলেন।
ওই ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে টুইট করা হয়, "বান্দিপোরায় বিজেপি কর্মী ওয়াসিম বারির উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। নির্বিচারে গুলি চালানোর সময় শুধু ওয়াসিম বারিই নন, মারাত্মক আহত হন তাঁর বাবা বশির আহমেদ ও ভাই উমর বশির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাঁরা তিনজনই সেখানে মারা যান।"
একটি নতুন জঙ্গি দল রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট জম্মু ও কাশ্মীরের হামলার দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এটি আসলে জয়েশ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনেরই একটি অংশ।
তবে যেভাবে জঙ্গিরা নির্বিচারে এভাবে গুলি করে রাজনীতিবিদদের হত্যা করছে তার তীব্র নিন্দা চলছে দেশ জুড়ে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা টুইটে বলেছেন, "ওয়াসিমের মৃত্যু দলের পক্ষে একটি বিরাট ক্ষতি। আমার গভীর সমবেদনা পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। পুরো দল শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে তাঁদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।"