This Article is From May 14, 2019

মমতার ছবি বিকৃত করে জেলে যাওয়া বিজেপি কর্মীকে মুক্তির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত

মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি তরুণীকে ক্ষমাও চাইতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মমতার ছবি  বিকৃত করে জেলে যাওয়া বিজেপি কর্মীকে মুক্তির নির্দেশ দিল  শীর্ষ আদালত

হাইলাইটস

  • গ্রেফতারির জন্য ক্ষমাও চাইতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
  • কয়েকটি শর্ত রেখে প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত
  • গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার
নিউ দিল্লি:

মমতার ছবি  বিকৃত করে জেলে যাওয়া বিজেপি কর্মী প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে মুক্তির নির্দেশ দিল  শীর্ষ আদালত (Top Court) । মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি   ক্ষমাও  চাইতে হবে বলে  জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই  মন্তব্য করে কয়েকটি সর্ত রেখে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।  গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে  সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তখনই আদালত জানিয়েছিল  মামলার শুনানি হবে আজ। সেই মতো মামলা শোনেন বিচারপতিরা। আর প্রিয়াঙ্কার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন তাঁরা।

 প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী আদালতকে জানান তাঁর কাছে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তার কারণ নানা কারণে পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীরা ধর্মঘট করেছেন। এর আগে প্রিয়াঙ্কাকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের আদালত। প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ  তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দিন কয়েক আগে নিউ ইয়র্কের মেট গালা অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচিত্র রূপে ধরা দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই  ছবিতে মমতার মুখ বসিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা শর্মা। 

 প্রতিক্রিয়া  দিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। তাঁদের অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন অথচ তাঁর নিজের রাজ্যেই গণতন্ত্রকে গলা টিপে  হত্যা করা  হয়। কেন্দ্রীয়  মন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেছেন  এ ধরনের রাজনীতি সমাজ কল্যাণ  করতে পারে না।

 মুখ্যমন্ত্রী ছবি বিকৃত করা বা সোশ্যাল  মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে আগেও বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাছাড়া কয়েক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র গ্রেফতার হন একই কারণে। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়েন অম্বিকেশ। সেই ঘটনাতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে  রায় দিয়েছিল আদালত। এক্ষেত্রেও সেটাই হল।       

.