হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুতে (Bengal BJP MLA death) সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের। এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ দেবেন্দ্র নাথ রায়ের পরিবার। মৃত বিধায়কের স্ত্রী চন্দ্রিমা রায়ের অভিযোগ, "বিধায়ককে খুন করা হয়েছে। কিন্তু সিআইডি (CID) আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে, রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে চাই।" জানা গিয়েছে, চন্দ্রিমা রায়ের হয়ে এই আবেদন অনলাইনে দাখিল করেছেন আইনজীবী ব্রজেশ ঝা। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে এই আবেদনের শুনানির জন্য অনুরোধ করেছে বিধায়কের পরিবার। সেই আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া শুধুমাত্র প্রাথমিক তদন্তের ওপর ভর করে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করেছে রাজ্য পুলিশ।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, কনটেইনমেন্ট জোন লকডাউনের কারণে ১৯ জুলাই বন্ধ মুলতুবি আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত।
এপর্যন্ত হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুতে ধৃত এক। সিআইডি এই ঘটনার তদন্তে নেমেই দেবেন্দ্র রায় মৃত্যুরহস্যে নিলয় সিনহাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম মৃতের সুইসাইড নোটে উল্লেখ আছে। এমনটাই সিআইডি সূত্রে খবর। এদিকে, এই মৃত্যুরহস্য ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপি একে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছি। কিন্তু শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, "আর্থিক লেনদেন থেকে ব্যক্তিগত শত্রুতা। সেই মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন ওই বিধায়ক।" জানা গিয়েছে, ধৃতকে মালদহের ইংলিশ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। বুধবার সিআইডি তাঁকে হেফাজতে নেয়।
রায়গঞ্জের একটি আদালত তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। সেই সুইসাইড নোটে মাহবুদ আলি নামে অপর একজনের নামোল্লেখ আছে। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই সুইসাইড নোট। তবে বিজেপি শিবিরের প্রশ্ন, "বিধায়ক আত্মহত্যা করলে, হাত কেন বাঁধা ছিল।"
ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত গড়িয়েছে এই বিতর্কের জল। বিজেপির তরফে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন গিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়ে এসেছেন রাষ্ট্রপতিকে। দিন দুয়েক আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "ঘটনার গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। সিআইডি তদন্তভার হাতে নিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।"