This Article is From Jul 04, 2018

'বিশ্বের সর্বাধিক ওজনের কিশোর' তকমা পেল দিল্লীর মিহির জৈন

14 বছরের মিহির জৈনের ম্যাক্স ইন্সটিটিউট অফ মিনিমাল অ্যাক্সেস, মেটাবলিক অ্যান্ড বেরিয়াট্রিক সার্জারিতে ওজন কমানোর জন্য শল্যচিকিৎসা করা হয়

'বিশ্বের সর্বাধিক ওজনের কিশোর' তকমা পেল দিল্লীর মিহির জৈন

14 বছরের মিহির জৈন নিজের স্বাস্থ্যর জন্য স্কুলে যেতে পারত না

নিউ দিল্লী:

দিল্লীর মিহির জৈনের 14 বছর বয়সেই ওজন ছিল 237 কেজি। অত্যাধিক ওজন তার হাঁটা এমনকী নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে প্রভাব ফেলেছিল। তাই তাকে ওজন কমাতে শল্যচিকিৎসার সাহায্য নিতে হয়।  

হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন করে 30 কেজি ওজন কমানোর আগে সে ছিল “বিশ্বের সর্বাধিক ওজনের কিশোর, যার বিএমআই 92 কেজি/এম2”।

শল্য চিকিৎসার আগে তার আরও 40 কেজি ওজন কমানো অবশ্যই প্রয়োজন।

“গত বছর ডিসেম্বরে মিহির যখন হুইল-চেয়ারে করে আমার ওপিডি-তে আসে আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি। ও অত্যন্ত মোটা, ওর বিএমআই 92, যা অত্যন্ত বেশি। ওর মুখ এতটাই ফোলা ছিল যে ও চোখ খুলতে পারছিল না। ও ঠিকভাবে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারত না। আমি যখন ওর বয়স নিয়ে পড়াশোনা করলাম, জানতে পারলাম 14 বছর বয়সেই ওর সাংঘাতিক বিএমআই”, ম্যাক্স ইন্সটিটিউট অফ মিনিমাল অ্যাক্সেস, মেটাবলিক অ্যান্ড বেরিয়াট্রিক সার্জারির চেয়ারম্যান ডাক্তার প্রদীপ চৌবে জানান।   

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মিহিরের উচ্চতা 5 ফুট (161 সেমি) এবং বর্তমান ওজন 165 কেজি। আমাদের লক্ষ্য ওর ওজন 100 কিলোতে নামিয়ে আনা।

“ইতিমধ্যে ডাক্তাররা একটা গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করেছেন, যার ফলে খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ কমে যায় এবং দেহে ক্যালোরি কম শোষিত হয়। অপারেশন করতে 90 মিনিট সময় লেগেছে”, হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান।

2003 সালে জন্মের সময় মিহিরের ওজন ছিল 2.5 কেজি। পাঁচ বছর বয়সে ওর মোটা হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়, তখনই ওর 60-70 কেজি ওজন ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মিহিরের পরিবারে মোটার ধারা আছে কিন্তু ছেলেটার খাওয়ার কোনও সীমা নেই এবং সে প্রচুর পরিমাণে জাঙ্কফুড খেত।

“ওর খাওয়াদাওয়া এখন পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং শুরুতে তরল ও নরম খাদ্য দেওয়া হত। এখন ওকে সলিড খাবার দেওয়া হলেও তাতে বেশি প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট থাকে”, হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঙ্গে বলা হয়েছে ডিসেম্বরে ওর বিএমআই ছিল 92, যা সার্জারির সময় ছিল 76 ইউনিট।

ডাক্তার চৌবে জানান, “সাধারণত 92 বিএমআই-এর ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারির কথাই ভাবা হয় কিন্তু আমরা পুরোপুরি গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের পক্ষে। কারণ এটা একটা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া।“

মিহিরের মা পূজা জৈন জানান, “মিহির বাড়িতেই পড়াশোনা করত, যার ফলে ওর সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গেও ওর যোগাযোগ কমে গিয়েছিল।“

ও এখন এক্সারসাইজ করছে এবং অপেক্ষা করছে আবার কবে স্বাভাবিক ওজন ফিরে পাবে এবং স্কুলে যেতে পারবে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.