This Article is From Aug 21, 2020

দেশে প্রতি চার জন সংক্রমিতের মধ্যে সুস্থ তিন জন! কমেছে প্রতি লক্ষে মৃত্যু হার

দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত। সে রাজ্যে সংক্রমিত ৯০.১০%। তারপরেই আছে তামিলনাড়ু। আরোগ্যের হার ৮৩. ৫০%।

দেশে প্রতি চার জন সংক্রমিতের মধ্যে সুস্থ তিন জন! কমেছে প্রতি লক্ষে মৃত্যু হার

দেশে করোনায় সুস্থতার হার বেড়েছে। মৃত্যুর হার প্রতি লক্ষে কমেছে।

নয়াদিল্লি:

দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা থেকে আরোগ্যের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২,২৮২ জন সুস্থ হয়েছেন কিংবা বাড়ি ফিরেছেন। এই সংখ্যা ধরে মোট সুস্থতার হার ৭৪% ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ২১ লক্ষ ৫ হাজার মানুষ। শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে এমনটাই উল্লেখ। সুস্থতার হার বাড়ার পাশাপাশি দেশে প্রতি লক্ষে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। এখন এক লক্ষে মৃত্যুর হার ১.৮৯%।  যে হারে সুস্থতার হার বাড়ছে, তা ক্রমশ কমাচ্ছে সক্রিয় সংক্রমণকে। ভারতে এখন সক্রিয় সংক্রমণ ১৪,৬৬,৯১৮।  স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে উল্লেখ দেশের ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা ধরে আরোগ্যের হার ৫০%-এর বেশি। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৪.৩০%। অর্থাৎ প্রতি চার জন সংক্রমিতের মধ্যে সুুুুুস্থ তিন জন।

 তিন মাসের হিসেবে ১৭ জুন দেশে মোট সুস্থ হয়েছিলেন ৫২.৮%। একমাস বাদে অর্থাৎ ১৭ জুলাই সুস্থ হয়েছিলেন  ৬৩.২৪%। আর ২০ অগাস্ট  সুস্থ হয়েছেন ৭৪.৩০%। সূত্রের খবর দেশের মোট ৬ লক্ষ ৯২ হাজার করোনা সংক্রমিত সঙ্কটজনক। অর্থাৎ মোট সংক্রমণের ২৩%। প্রত্যেকেই কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। 

এই হারে সুস্থতার হার বাড়া ও মৃতের সংখ্যা কমার পিছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে মন্ত্রক। যার একদম উপরের দিকে আছে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা, কড়া পর্যবেক্ষণে হোম আইসোলেশনে রাখা, জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেনের জোগান ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। পাশাপাশি রয়েছে এইমস ও অন্য বিশেষজ্ঞ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোভিড প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা। 

জানা গিয়েছে, দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি সুস্থ হয়েছে। সে রাজ্যে আরোগ্যের হার ৯০.১০%। তারপরেই আছে তামিলনাড়ু। আরোগ্যের হার ৮৩. ৫০%। গুজরাতে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৮০%, তেলেঙ্গানায় ৭৭.৪০% আর পশ্চিমবঙ্গে ৭৫%-এর ওপরে। 

এদিকে, গোটা বিশ্বের মতোই ভারতেও এখন আতঙ্কের সবচেয়ে বড় নাম করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে এদেশে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সকলেরই একটাই প্রার্থনা, করোনাকে রুখতে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসুক একটি ভ্যাকসিন। ভারতে ৩ টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্য়বহার চললেও এখনও পাকাপাকিভাবে কোনও ভ্যাকসিনেই শিলমোহর পড়েনি। ফলে চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। তবে এর মধ্যেও আশার কথা শোনাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। এই সংস্থার অন্যতম আধিকারিক ডেভিড নাবারো আগেই বলেছিলেন যে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তবে তিনি একথাও বলেন যে, এরপরেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাস্তবেও কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভারতে এখন প্রতিদিনই রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে একথাও ঠিক যে, এই রোগ থেকে মৃত্যুর হার এদেশে অনেকটাই কমে এসেছে।

বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বের অন্য সমস্ত দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে খুব তাড়াতাড়িই হয়তো ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে বিশ্ব তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে পৌঁছে যাবে এদেশ। এমনকী এও মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে সংক্রমণের হিসাবে শীর্ষে থাকা আমেরিকাকেও টপকে যাবে ভারত।

তবে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও আশা জাগাচ্ছে একটি পরিসংখ্যান। তাতে দেখা যাচ্ছে যে ভারতে করোনার কারণে মৃত্যুর হার কমছে। পাশাপাশি এই রোগ থেকে সুস্থতার হারও লাগাতার বেড়ে চলেছে। বর্তমানে করোনা পুনরুদ্ধারের হার ৭৪% এরও বেশি, যা বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি।

ভারতের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে এখানকার মানুষজন ধীরে ধীরে এই ভয়ঙ্কর রোগটির সঙ্গে যুঝতে শিখে যাচ্ছেন। কারণ কিছুদিন আগেও যেখানে এদেশে করোনার কারণে মৃত্যুর হার ছিল ২.৪% তা এখন নেমে এসে হয়েছে  ১.৯%। সেই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে যেসব করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগের মৃত্যুর আসল কারণ কোমর্বিডিটি অর্থাৎ অন্য কোনও জটিল রোগের প্রভাব। আরও দেখা যাচ্ছে যে, ভারতের যুবসমাজ এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। সারা বিশ্বের তুলনায় ভারতীয় যুবা সম্প্রদায়ের করোনা থেকে মৃত্যুর হারও যথেষ্ট কম।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.