This Article is From Feb 23, 2019

বিষাক্ত মদ কাড়ল ৬৬ জন চা শ্রমিকের প্রাণ, আসামের হাসপাতালে ভর্তি আরও ২০০

গোলাঘাটের সালমারা চা বাগান এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা দ্রৌপদী ওরান এবং তাঁর ৩০ বছর বয়সী ছেলে সঞ্জু ওরানের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই মদ তৈরি হয়। মা ও ছেলে দু’জনেই মারা গিয়েছে। 

মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ রাজ্য সরকারের

গুয়াহাটি:

আসামে বিষাক্ত মদ খেয়ে মারা যাওয়া চা শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬তে। প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে অবৈধভাবে উত্পাদিত মদ খাওয়ার কারণে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে ১০০ জনেরও মৃত্যু ঘটেছে। এই দেশি মদটিকে স্থানীয়ভাবে হুচ বলা হয়। গোলাঘাট ও জোড়হাট জেলায় দুটি পৃথক ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আসাম সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার পূর্বের গোলঘাটের একটি চা বাগানে মদ খাওয়ার পরে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

পুলওয়ামা আক্রমণ স্মরণে কেঁদেই ফেললেন যোগী আদিত্যনাথ, দেখুন ভিডিও

জোড়হাটের রোগীদের পরিদর্শন শেষে আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা বলেন, “সংকট মোকাবিলা করতে নিকটস্থ জেলার ও অন্যান্য মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি ১০ মিনিটে আমরা বিভিন্ন স্থানে অসুস্থ ও মৃতদের খবর নিচ্ছি।” জোড়হাট পৌঁছানোর কথা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনাওয়ালেরও।

কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে শ্রমিকদের মৃত্যুর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমি আসামের গোলঘাট এলাকার এই ঘটনার খবরে খুবই দুঃখ পেয়েছি। আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি রইল। আমি আশা করি যে, অসুস্থরা খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবেন।" গোলাঘাটের সালমারা চা বাগান এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা দ্রৌপদী ওরান এবং তাঁর ৩০ বছর বয়সী ছেলে সঞ্জু ওরানের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই মদ তৈরি হয়। মা ও ছেলে দু'জনেই মারা গিয়েছে। 

পুরুলিয়ায় অগ্নিকান্ডে মৃত্যু হল সাত জনের

মুখ্যমন্ত্রী সোনাওয়াল জানিয়েছেন তিনি উচ্চ আসাম বিভাগের কমিশনার জুলি সোনাওয়ালকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোড়হাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ২০ জন চিকিৎসাধীনের মধ্যে ৯ জন মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ মারা গিয়েছেন। একটি সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাপ্তাহিক মজুরি পাওয়ার পরেই চা বাগানের ওই শ্রমিকেরা মদ খেতে গেছিলেন।

.