The woman says that her husband has been beating her up since many years.
লখিমপুর: বছরের পর বছর ধরে শারীরিক, মানসিক ভাবে স্বামী অত্যাচার (Abuse) চালিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তা সহ্য করেছে অসমের (Assam) গুণেশ্বরী বারকটকি। রাগে অন্ধ হয়ে কুড়ুল দিয়েও কুপিয়েছেন গুণধর স্বামী। তাও মুখ বুঁজে মেনে নিয়েছে গুণেশ্বরী। শুধুমাত্র সন্তানদের মুখ চেয়ে। অবশেষে, অত্যাচারের সীমা ছাড়ানোয় গতকাল গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে মাতাল স্বামীকে খুন করে সে। তারপর ধারালো দা দিয়ে স্বামীর দেহ থেকে মুণ্ডু আলাদা করে প্লাস্টিকে মুড়ে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে ধলপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে মাঝগাঁওয়ের ওই বাসিন্দা (Woman Kills Husband, Walks To Cops With Severed Head in plastic bag)। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছে, কতটা অত্যাচার সহ্য করলে এত নৃশংস হতে পারে একজন মানবী?
দুই ছেলে আর তিন মেয়ের মা গুণেশ্বরী। বিয়ের পর থেকেই স্বামীসুখ পায়নি কোনোদিন। পড়্শিদের কথায়, নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত লয়কিমপুর জেলার এই দম্পতির মধ্যে। গুণেশ্বরীর জবানিতে, 'বছরের পর বছর সহ্য করে গেছি শুধু সন্তানদের মানুষ করব বলে। উঠতে বসতে মারধর করত। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা সীমা আছে!' বছর আটচল্লিশের অভিযুক্তের দাবি, দিন কয়েক ধরেই নাকি অত্যাচারের মাত্র আরও বাড়িয়েছিল বছর পঞ্চান্নের মুদিরাম। তাই আর সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে খুন করে সে।
স্বামীর কাটা মুণ্ডু নিয়ে গুণেশ্বরী থানায় আসতেই (Woman Kills Husband, Walks To Cops With Severed Head in plastic bag) নড়েচড়ে বসেছে প্রশাশন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, শুরু করেছে তদন্তও। গতকাল, স্থানীয় জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে তাঁকে।