This Article is From Mar 26, 2020

‘উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসায় করতালি দেওয়ানো কণ্ঠস্বর কোথায় ছিল?’ অপর্ণা সেন

আর বিভাজনের রাজনীতিতে ফিরে যাব না কেউ। তার পরিবর্তে আসুন প্রায় ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাওয়া দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার দিকে সবাই মনোযোগী হই

‘উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসায় করতালি দেওয়ানো কণ্ঠস্বর কোথায় ছিল?’ অপর্ণা সেন

করোনা ভয় মুছে দিল জাতিভেদ!

কলকাতা:

নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফের বিঁধলেন অপর্ণা সেন। একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আমাদের একটি জিনিস শিখিয়েছে। মৃত্যু ভয়ের কাছে সমস্ত মানুষ সমান। এখন রাম আর রহিমে কোনও ফারাক নেই। তাই আমার চাওয়া, এই মনোভাবটাই থেকে যাক। আর বিভাজনের রাজনীতিতে ফিরে যাব না কেউ। তার পরিবর্তে আসুন প্রায় ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাওয়া দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার দিকে সবাই মনোযোগী হই'--- দেশ যখন ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন এভাবেই সবাইকে এক হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। পরিচালক-অভিনেতা বরাবরই মনেমুখে এক। তাঁর রাজনৈতিক চেতনা, তাঁর সমাজ সচেতনমনস্কতা নিয়ে ভীষণ স্পষ্ট ভাষায় মুখর তিনি। করোনা মহামারীর সময়েও তার পরিবর্তন ঘটল না। একের পর এক টুইটে তিনি সোশ্যালে সোচ্চার হলেন নিজের মত নিয়ে।

অপর্ণা সেনের এই মনোভাব কিন্তু দেশের সমস্ত মানুষের মনের কথা। কেউ সরবে বলেছেন, কেউ নীরবে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী সহ বহু সেলেব জানিয়েছেন, করোনার এই ভয়টা থাক। ভাইরাস যাক।

একই সঙ্গে তাঁর ক্ষোভ, 'কিছু লোক এখনও নিজেকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার এবং সি ভাইরাসের শৃঙ্খলা ভাঙার প্রয়োজন বুঝতে চাইছেন না বা বুঝতে পারছেন না! আমাদের দেশ এবং বিশ্বের স্বার্থে তাই সবার কাছে একটাই কামনা, বাড়িতে থাকুন! এই ভাইরাস নিমেষে কেড় নেয় একমুঠো প্রাণ। আমরা একসঙ্গে লড়াই না করলে পৃথিবী নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে একদিন!'

এরপরেই পরিচালকের কটাক্ষ। অপর্ণার প্রশ্ন, একটা কণ্ঠস্বর যদি লাখো ভারতবাসীকে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে করতালিতে মুখর করতে পারে, উত্তর-পূর্ব দিল্লি যখন হিংসার আগুনে পুড়েছে আশ্চর্যজনক ভাবে কেন সেই কণ্ঠস্বর নীরব ছিল? নাম না করে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেসময়েও তিনি যদি এভাবে মুখর হতেন তাহলে বোধহয় এত লোকের অকারণ মৃত্যুর সাক্ষ্মী হত না দেশ। অপর্ণা সেনের এই কথার সুর হুবহু বেজেছে শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর করোনা কবিতায়!

মানবিক অপর্ণা শেষে লকডাউনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যেতে বসা দুঃস্থ টেকনিশিয়ানদের সাহায্যের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

.