This Article is From Dec 24, 2019

“প্রধানমন্ত্রীই সঠিক, দেশজুড়ে এনআরসির এখনই কোনও আলোচনা নয়”: অমিত শাহ

অমিত শাহ আরও বলেন, এনআরসি এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর মধ্যে কোনও যোগ নেই

অমিত শাহ আরও বলেন, এনআরসি এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর মধ্যে কোনও যোগ নেই

নয়াদিল্লি:

দেশজুড়ে এখনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (National Register of Citizens) বা এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), দুদিন আগেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিপরীত মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে বিতর্কের কোনও প্রয়োজন নেই, যেহেতু এটা নিয়ে এখনই কোনও আলোচনা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী মোদিই সঠিক কথা বলেছেন, মন্ত্রিসভা বা সংসদ, কোথাও এটা নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি”। রবিবার দিল্লির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে আমি জানাতে চাই, ২০১৪ সালে আমার সরকার ক্ষমতায় আসা থেকে এনআরসি নিয়ে কোথাও কোনও আলোচনা হয়নি। শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, অসমে এনআরসি করা হয়েছে”।

তিনি বলেন, “মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। টিভি ইন্টারভিউতে নেতারা বলেছেন, দেশজুড়ে অনেক খরচে এনআরসি করা হবে, তবে আমি আপনাদের বলতে চাই, যা হওয়া নয়, কেন তার পিছনে আপনারা মানসিক শক্তি নষ্ট করছেন”?

অমিত শাহও বলেন, অমিত শাহ আরও বলেন, এনআরসি এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর মধ্যে কোনও যোগ নেই। জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর জন্য যেদিন সরকার ৩,৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করল, সেদিনই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “আমি আজ এটা পরিষ্কার করতে জানাতে চাই”। 

তিনি বলেন, “জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প তৈরি করা হয়। এনআরসিতে সেই সমস্ত তথ্য থাকে, যার মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি দেশের নাগরিক কিনা”।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাঁর কথায়, “দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনও যোগ নেই। এনআরসির জন্য জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর তথ্য ব্যবহার করা যায় না”।

তিনি বলেন, “জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর তথ্য জাতীয় নাগরিকপঞ্জীতে ব্যবহারের কোনও নাগরিকের মনে কোনও ভয় থাকার প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের, আমাদের মুসলিম ভাইদের। কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে, তাঁদের তা করা উচিত নয়”।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধার জন্য জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী তৈরি করা হয়। তাঁর কথায়, “ যারা এটার বিরোধিতা করছে, তারা গরীব মানুষের ক্ষতি করছে”।

এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সঙ্গে মিল রয়েছে বলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বাংলা ও কেরল।অমিত শাহ বলেন, “আমি কথা বলব এবং তাদের কাছে আবেদন করব, এটা নিয়ে যেন কোনও রাজনীতি না হয়”।

.