This Article is From Aug 11, 2019

‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা সিদ্ধান্ত’’: সভাপতি পদে সনিয়ার প্রত্যাবর্তনের পর অমরিন্দর সিংহ

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ সনিয়ার নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বললেন এটাই ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা সিদ্ধান্ত’’।

‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা সিদ্ধান্ত’’: সভাপতি পদে সনিয়ার প্রত্যাবর্তনের পর অমরিন্দর সিংহ

কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সনিয়া গান্ধি।

নয়াদিল্লি:

শনিবারই কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ (Amarinder Singh ) সনিয়ার নিয়োগকে স্বাগত জান‌িয়ে বললেন এটাই ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সেরা সিদ্ধান্ত''। তিনি জানান, সনিয়ার ‘‘অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান'' দলকে সাহায্য করবে। ২০১৯ লোকসভায় বিজেপির কাছে দাঁড়াতেই পারেনি কংগ্রেস। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধি। বহু অনুরোধেও তিনি সিদ্ধান্ত বদলাননি। অবশেষে তাঁর মা সনিয়া গান্ধিকেই সভাপতি করা হল। অমরিন্দর সিংহ টুইট করেন, ‘‘শ্রীমতী সনিয়া গান্ধিজিকে দায়িত্বে ফিরতে দেখে খুশি হয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই সেরা সিদ্ধান্ত। ওঁর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমি তাঁকে এবং দলকে শুভেচ্ছা জানাই।''

ম্যারাথন মিটিং শেষে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচিত সনিয়া গান্ধী

শনিবার দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হন সনিয়া। দলের শীর্ষনেতাদের দিনব্যাপী এক বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাতিয়ালার সাংসদ প্রণীত কউর সনিয়া গান্ধিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘দারুণ খবর! শ্রীমতী সনিয়া গান্ধি আবার কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক আশা ও সংকল্প নিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চাই। আপনার মূল্যবান অভিজ্ঞতা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সাহায্য করবে।''

অশান্তি বাড়ছে কাশ্মীরে! রাহুলের দাবি উড়িয়ে পুলিশ জানাল পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ

কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সনিয়া গান্ধির ‘সঠিক অভিজ্ঞতা' রয়েছে। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘কয়েক বছর ধরে কংগ্রেসের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়েছে শ্রীমতী সনিয়া গান্ধিরই সঠিক অভিজ্ঞতা রয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে। ওঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করার কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।''

১৯ বছর ধরে কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন সনিয়া গান্ধি। এই সময়ে পরপর দু'টি পর্যায়ে কেন্দ্রে সরকার ছিল কংগ্রেসের। গত মাসে দলের অস্থায়ী সভাপতি হওয়ার প্রস্তাবে তিনি নীরব ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তিনি গত লোকসভায় সেভাবে প্রচারকার্যেও যেতে পারেননি এবং জনসংযোগ কমিয়ে দিয়েছেন।

বছরের শেষে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন। তার আগেই সভাপতির পদে প্রত্যাবর্তন সনিয়ার। লোকসভা নির্বাচনের পরে এই নির্বাচনগুলির আগে সভাপতি বাছতে না পারার কারণে সমালোচিত হতে হচ্ছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। দলের নেতা ও কর্মীরাও এতে হতাশ হয়ে উঠছিলেন। তাঁদের হতাশা ক্রমশ বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন শশী থারুর।

লোকসভায় মাত্র ৫২টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আসনসংখ্যা সামান্য বাড়লেও বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের কাছে একেবারে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে দলকে। এরপরই সভাপতির পদ ছেড়ে দেন‌ রাহুল গান্ধি। রাহুল নিজে তাঁর লোকসভা কেন্দ্র আমেঠী, যা গান্ধি পরিবারের তথা কংগ্রেসের শক্তি ঘাঁটি ছিল, সেখানে হেরে যান বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে। তবে ওয়ানাদ লোকসভায় জিতে সাংসদ হন রাহুল।

.