এই প্রতিবাদ মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর এই মিছিল করে বিজেপি
- মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়
- আকাদেমি থেকে নন্দন হয়ে আকাদেমি, এক কিলোমিটার অতিক্রম করে ওই মিছিল
কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের আগে শহরে বড়সড় মিছিল করল বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং বেড়ে চলা ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে নন্দন চত্বরে আয়োজিত হয়েছিল এই মিছিল। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি পেয়েই এদিন বিকেলে বিজেপি'র মহিলা মোর্চা এই মিছিল আয়োজন করে। শুক্রবার দুপর দু'টো নাগাদ হাইকোর্ট তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, অন্য রুটে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করতেই পারে বিজেপি। তারপরেই তড়িঘড়ি এদিন ৩টে থেকে ৪.৩০টে পর্যন্ত এই মিছিল পরিক্রমা করে নন্দন চত্বর। এই মিছিলের পুরোভাগে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। ছিলেন দলের নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তিতে শনিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
আকাদেমি থেকে নন্দন, বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে ফের আকাদেমি পর্যন্ত মোট এক কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে এই মিছিল। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দুষে এদিন মিছিলে স্লোগান তোলা হয়। মিছিল শেষে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, "দক্ষিণ দিনাজপুরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে এবং রাজ্যের আইনৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আমরা মিছিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি খারিজ করে দেয়।"
হায়দরাবাদের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনার তুলনা করে এদিন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীর প্রশ্ন, "শহরের বুদ্ধিজীবী মহল চুপ কেন? মুখ্যমন্ত্রীও চুপ কেন? যেখানে তিনি এ ধরণের ঘটনায় ভিন রাজ্যে তাঁর দলের প্রতিনিধিদের পাঠান। কিন্তু নিজের রাজ্যে হওয়া এই নৃশংস ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী চুপ! কেন?" প্রথমে নন্দন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত একই দাবিতে মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে সাক্ষাৎপ্রার্থী বিজেপি
এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। সেখানে বিজেপির পক্ষে আইনজীবী বলেছেন, পুলিশ কোনও কারণ না দেখিয়েই আমাদের আবেদন খারিজ করেছে। পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে দাবি করেন, "ওই রুটে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির অনুমতি আগে থেকে নেওয়া। ফলে দুই দলের কর্মসূচি একই জায়গায় হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই ওই রুটে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরেই দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে, অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রস্তাবিত রুটে, বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)