This Article is From Nov 12, 2019

বিজেপির হাত সেনা ছাড়তেই 'পুরানো সেই দিনের কথা' মনে করালেন মন্ত্রী গিরিরাজ

ছবি টুইট করে গিরিশ যেন বোঝাতে চাইলেন প্রয়োজনে এর আগে কীভাবে বিজেপির হাত শক্ত করেছিল সেনা। জোট বেঁধেছিলেন দুই দলীয় প্রধানেরা। 

বিজেপির হাত সেনা ছাড়তেই 'পুরানো সেই দিনের কথা' মনে করালেন মন্ত্রী গিরিরাজ

পুরনো সেই দিনের কথা

হাইলাইটস

  • বাল থ্যাকারে-বাজপেয়ী-আডবানি এক ফ্রেমে
  • শিবসেনা এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিতেই এই টুইট
  • শিবসেনার দীর্ঘ পথ অতিক্রমের সাক্ষী যেন এই ছবি
New Delhi:

সোমবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির হাত ছাড়ল শিবসেনা। ইঙ্গিত দিল এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের। তারপরেই পুরনো সেই দিনের কথা মনে করাতে অতীত স্মৃতি সামনে আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। এক ফ্রেমে তিন কালজয়ী লৌহপুরুষ---- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব থ্যাকারে (Balasaheb Thackeray), বিজেপি-র লালকৃষ্ণ আদবানি (LK Advani) এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর ( Atal Bihai Vajpayee) ছবি টুইট করে গিরিশ যেন বোঝাতে চাইলেন প্রয়োজনে এর আগে কীভাবে বিজেপির হাত শক্ত করেছিল সেনা। জোট বেঁধেছিলেন দুই দলীয় প্রধানেরা। 

শিবসেনাকে সমর্থন কংগ্রেসের, মহারাষ্ট্রে আমন্ত্রণ পেল এনসিপি

মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দুই দলের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ হবে ৫০:৫০--- এই দাবি ছিল দুই দলেরই। সেনাদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ও সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরে বৈঠকে ঠিক করেন এই অনুপাতে ক্ষমতা বিভাজনের কথা। কিন্তু পরে শুধু চুক্তিই নয়, এই চুক্তি যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার কথাও নাকি অস্বীকার করে বিজেপি।

এপ্রসঙ্গে সোমবার সকালে শিবসেনা মোদি সরকারের ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ পোর্টফোলিওর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্তকে টেনে আনেন গিরিরাজ। এরপরেই গিরিশ সিংহ জোট ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আনেন উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে। হিন্দিতে তিনি লেখেন, বালা সাহেব বরাবরই সনাতনী অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ সমর্থন করে এসেছেন। আজ তাদের হাত ছাড়ল সেনা। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা আজ থাকলে দেখে ব্যথিত হতেন, কীভাবে পথভ্রষ্ট তাঁর দল! প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিজেপির সঙ্গে ৩৫ বছরের জোট ভাঙল শিবসেনা। এবং এই প্রথম জোট গড়ল কংগ্রেসের সঙ্গে।

কেন শিবসেনাকে অপেক্ষায় রাখলেন সনিয়া গান্ধি

গিরিরাজ আরও জানান, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে বরাবরই বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সেনাদের। কারণ, দুই দলের মত-পথ এক। এমনকি, ৩৭০ ধারা, অযোধ্যা নিয়েও বিজেপি আর সেনার চিন্তাভাবনায় পার্থক্যের চেয়ে ঐক্যই বেশি। তারই মধ্যে দুই দলের ভেতরেই প্রতিযোগিতার মনোভাবের চোরা স্রোতের মতো বয়েছে। তাই বিরোধী আসনে বসার পরে প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরোধিতা করতে বাঁধেনি দুই দলের।যদিও ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই ছবি কিছুটা হলেও বদলে যায়। শিবসেনাকে কম আসন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই দল আলাদা হয়ে গেলেও বিজেপির ছত্রছায়াকে একেবারে অবনামনা করেনি ঠাকরের দল।

.