Karnataka MLAs: ১৭ জন বিধায়কের পাল্টি খাওয়ার জেরে কর্নাটকে জনতা দল সেকুলার-কংগ্রেস সরকার পড়ে যায়
বেঙালুরু: কর্নাটকের বিদ্রোহী ১৭ জন বিধায়ককে (Karnataka MLAs) অযোগ্য ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত। এই সেই ১৭ জন যাঁদের পাল্টি খাওয়ার জেরে কর্নাটকে জনতা দল সেকুলার-কংগ্রেস সরকার পড়ে যায়। ওই সরকারের পর সে রাজ্যের (Karnataka) ক্ষমতায় আসে বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন ওই বিধায়কদের। ওই বিদ্রোহী বিধায়করা ২০২৩ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। কংগ্রেসের ১৪ জন এবং জেডিএসের ৩ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে গত জুলাইয়েই অযোগ্য ঘোষণা করেন কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ। পাশাপাশি সেইসময় অধ্যক্ষও এও বলেন যে, ওই বিধায়করা ২০২৩ সালের মধ্যে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তটি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
বিধায়করা পদত্যাগ করার পরেও তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা, সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে তাঁদের বিধানসভায় যোগ দিতে বাধ্য করা যায় না।
আস্থা ভোটের আগের দিন কর্নাটকের ১৪ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করায় সুবিধা বিজেপির
ওই ১৭ জন বিধায়ক তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে আর কর্নাটক বিধানসভায় ফিরে যেতে অস্বীকার করে। ফলে ২৩ জুলাই আস্থা ভোটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় জেডিএস-কংগ্রেস জোট, এরপরেই বিজেপি সেখানে সরকার গড়ার দাবি করে।
এরপরেই যে সব বিধায়কদের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ, তাঁরা তাঁদের ওই অযোগ্যতা বাতিল করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি জেডিএস এবং কংগ্রেসও শীর্ষ আদালতে যায় তাঁদের অযোগ্য ঘোষণার বিষয়টি কার্যকর করার দাবিতে।
ওই বিধায়কদের অযোগ্যতার কারণে শূন্য থাকা আসনের ১৫ টিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে।
চতুর্থবারের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ বিএস ইয়েদুরাপ্পার
২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপির পক্ষে ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ওদিকে বিরোধী জেডিএস-কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছে ১০১ জন বিধায়কের সমর্থন । তবে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ওই নির্দেশের ফলে ওই অযোগ্য বিধায়করা আসন্ন উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।