This Article is From Oct 31, 2019

“কঠোর ব্যবস্থা”, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে প্রতিশ্রুতি সরকারের

খবর পাওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুরোপুরিই বিভ্রান্তকর

“কঠোর ব্যবস্থা”, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে প্রতিশ্রুতি সরকারের

অভিযোগ, তালিকায় থাকা দুজন কর্মী, সরকারের ভূমিকার অভিযোগ তুলেছেন (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, চলতি বছরের গোড়ার দিকে, ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা ইজরায়েলি স্পাইওয়ার (Israeli spyware) নিয়ে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, খবর পাওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুরোপুরিই বিভ্রান্তকর, এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে “কঠোর ব্যবস্থা” নেওয়া হবে। একটি বিবৃতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত সরকার। জানানো হচ্ছে যে, আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। কোনও নিরাপরাধী নাগরিক যাতে হেনস্থা না হন, এবং তাঁর গোপনীয়তা যাতে প্রকাশিত না হয়, তারজন্য যথেষ্ঠ সুরক্ষা রয়েছে”। 

সুরক্ষিত নয় হোয়াটস অ্যাপও, ভারতীয়দের উপর নজরদারি ইজরায়েলি সংস্থার

ইজলায়েলের ওই সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাটি স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনএসইউ-এর বিরুদ্ধে ম্যালওয়ার ছড়ানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে ফেসবুক। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের প্রযুক্তি মানবধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার লাইসেন্স পাইনি এবং তেমনভাবে তৈরি নয়”। শুধুমাত্র “সরকারী সংস্থাগুলির দেখাশোনা এবং আইনসঙ্গত” করার লাইসেন্স রয়েছে। 

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, শুধুমাত্র একটি পরিবারের জন্য, “উচ্চনামজাদা ব্যক্তিত্ত্বের” বিরুদ্ধে তদন্ত করাক অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছ বিজেপি।

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, কড়া নির্দেশিকার প্রস্তাব

হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়, চলতি বছরের গোড়ার দিকে, হ্যাকিং-এর মাধ্যমে ভারতের বহু ব্যবহারকারী, যেমন, সাংবাদিক, সমাকর্মী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকে টার্গেট করেছে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার। এপ্রিলের দু সপ্তাহ ধরে, তাঁদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলে হয়েছে। বিশ্বের ২০টি দেশের মোট ১,৪০০ ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ম্যালওয়াল ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ইজরায়েলের সাইবার নিরাপত্তাসংস্থা এনএসও এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে ফেসবুক। এমনই একটি সফটওয়ার হল পেগাসুস। 

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভারতের নাগরিকদের গোপনীয়তা ফাঁস হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। ফাঁস হওয়া সম্পর্কে আমরা হোয়াটসঅ্যাপের থেকে জানতে চেয়েছি, এবং কোটি কোটি ভারতবাসীর গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে”।

তিনি বলেন, “সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ বারত সরকার। তা আটকানোর জন্য সরকারী সংস্থার নিয়ম রয়েছে, যারমধ্যে রয়েছে, জাতীয় স্বার্থে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মাধ্যমে নজরদারি ও অনুমোদন করা”।

তথ্য জানার অধিকার আইনের পরিবর্তন করায় সরকারকে আক্রমণ সনিয়া গান্ধির

বৃহস্পতিবার সকালে বিতর্ক ছড়াতেই, কংগ্রেস অভিযোগ করে, “নজরদারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে”, এবং তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা উচিত।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “মোদি-সরকার নজরদারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে! আতঙ্কজনক, তবে অবাক হওয়ার মতো নয়। সর্বপরি, বিজেপি সরকার, ১. আমাদের গোপনীয়তার বিরুদ্ধে লড়ছে, ২. সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ না করা পর্যন্ত বহু কোটির নজরদারি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। আদালতকে অবশ্যই জানাতে হবে, বিজেপি সরকারকে নোটিশ পাঠানো উচিত”।

.