This Article is From Jul 21, 2020

চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যুকে রাজনৈতিক পাশা করছে শাসক-বিরোধী দুই দল!

Chopra incident: রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এবং তাঁকে গোটা বিষয়টি জানায়

চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যুকে রাজনৈতিক পাশা করছে শাসক-বিরোধী দুই দল!

West Bengal: বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, পুলিশ অপরাধীদের "রক্ষা" করার চেষ্টা করছে (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার হয় রবিবার
  • পরে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তরুণীর
  • যদিও হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ, অভিযোগ করে বিজেপি
নয়া দিল্লি:

উত্তরবঙ্গের চোপড়ার (West Bengal) কিশোরীর মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে যতই রাজ্য পুলিশ এই দাবি করুক না কেন, ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে এই কিশোরীর মৃত্যুর (Chopra incident) ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এদিকে শাসকদল তৃণমূলের (Trinamool Congress) মতে, বিজেপি (BJP) অযথা বিষয়টিকে রাজনৈতিক রং দিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল গোটা ঘটনাটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাতে নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এবং তাঁকে গোটা বিষয়টি জানায়। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান,  "আমরা অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে চোপড়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে সবকিছু জানিয়েছি।" 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অমিত শাহের কাছে নালিশ রাজ্যপালের

চোপড়ার কিশোরীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা কলকাতায় একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করলেও তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

তৃণমূলের “শহিদ দিবসের” দিনে “প্রহসন দিবস” পালন করবে বিজেপি

রবিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বসলামপুর গ্রামে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও গণধর্ষণের সব জল্পনা উড়িয়ে পুলিশ জানিয়ে দেয় যে, কিশোরীর শরীরে কোনও যৌন নির্যাতন বা আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে, মূলত বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অথচ রবিবার রাতে চোপড়া সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় এই কিশোরীর মৃত্যুর তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতার করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অনেকেই দাবি করেন যে, কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে, এমন দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে যে, রবিবার কিশোরী মৃত্যুর ঘটনার পর হওয়া সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মৃত কিশোরীর দাদা অবশ্য অভিযোগ করেন, তিনি একজন বিজেপি কর্মী হওয়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে।

এদিকে সোমবার এলাকারই একটি খাল থেকে এক যুবকের দেহ  উদ্ধার ঘিরে আরও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সেই যুবকের দেহটি উদ্ধার হয়। জানা গেছে, ওই যুবকের নাম কিশোরীর বাবার করা এফআইএর-এ আছে। পথেঘাটে এই যুবক ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা নাকি ওই কিশোরীকে মাঝেমাঝেই হেনস্থা করত বলেও অভিযোগ ছিল পরিবারের।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, "পরপর দু'দিন দু'টি দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকা থমথমে। সোমবার যে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার নাম কিশোরী রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডে উঠে এসেছে। তাই আমরা সম্পূর্ণ তদন্ত করে সত্যিটা সামনে আনবো।

এদিকে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল গুণ্ডারাই ওই মেয়েটিকে খুন করেছে কারণ সে এক বিজেপি কর্মীর বোন। আর পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসাবে চালানোর চেষ্টা করছে।" বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, পুলিশ অপরাধীদের "রক্ষা" করার চেষ্টা করছে।

যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, "বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে এবং অযথা একটি বিষয়কে জটিল করার চেষ্টা করছে"।

তিনি আরও বলেন,"একটি ঘটনা ঘটেছে; পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। কিন্তু, বিজেপি সেই তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আর ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে পারছে না। বিজেপি এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করছে।" 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.