This Article is From Apr 24, 2020

কী কাণ্ড! অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালালেন জুনিয়র কনস্টেবল

পুরুলিয়ার কনস্টেবল বিনোদ কুমার অস্ত্রাগার থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ের উপরে উঠে যান, সেখান থেকে গুলি চালান তিনি

কী কাণ্ড! অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালালেন জুনিয়র কনস্টেবল

West Bengal: পরিবারের কথা শুনে তারপর গুলি চালানো বন্ধ করেন কনস্টেবল (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • ঝাড়গ্রামে কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবলের আজব কাণ্ড কারখানা
  • পুলিশ কার্যালয়ের ছাদ থেকে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালান তিনি
  • পরে পরিবারের অনুরোধে আত্মসমর্পণ তাঁর, ঘটনার কারণ এখনও অজানা
কলকাতা:

এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) মানুষজন এখন করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তার মধ্যে পুরুলিয়া নিবাসী ঝাড়গ্রামের (Jhargram) এক পুলিশ কনস্টেবলের (Police Constable) কাণ্ড দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় সবার। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি, যার কোনও কারণ হয়তো আপাতদৃষ্টিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিন দুপুর ১টা নাগাদ পুরুলিয়ার কনস্টেবল বিনোদ কুমার অস্ত্রাগার থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ের উপরে উঠে যান, সেখান থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। পরে তাঁর পরিবারের লোকজনের কাকুতিমিনতিতে বন্দুক ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই যুবক। কিন্তু কেন এই কাণ্ড, প্রাথমিকভাবে তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। অনেকেরই অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন ওই কনস্টেবল।

"পশ্চিমবঙ্গে আসা ৯ জন আরপিএফ জওয়ান করোনা পজিটিভ, কারা পাঠাল তাঁদের?", প্রশ্ন ডেরেকের

জেলা পুলিশের চারতলা ভবনের ছাদে উঠে হাতের অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি চালান ওই কনস্টেবল। যদিও লকডাউনে লোকজন বিশেষ রাস্তাঘাটে না থাকায় এলোপাথাড়ি গুলির ফলে কেউ হতাহত হননি।কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এমন চলতে থাকায় গোটা এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মাইকের মাধ্যমে ওই কনস্টেবলকে নিচে নেমে আসার জন্যে অনুরোধ জানানো হলেও তাতে কর্ণপাত করেননি বিনোদ। দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা গুলি চালান তিনি। অবশেষে বাড়ির লোকেদের অনুরোধে পুলিশ লাইনের ছাদ থেকে নিচে নেমে আসেন বিনোদ কুমার।

"অশুভের উপর শুভ শক্তির জয়": রমজানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা

যখন ছাদে উঠে ওই কাণ্ড ঘটাচ্ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল তখন সতর্কতা হিসাবে সাধারণ মানুষ যাতে এলাকার কাছাকাছিও না ঘেঁষতে পারে, তার জন্যে ডিয়ার পার্ক থেকে কদম কানন মোড় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে। ঘটনাস্থলে যায় একটি অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন গাড়িও। গোটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।

.