Read in English
This Article is From May 26, 2020

একটা খুন লুকোতে ন’টি খুন! কুয়োয় মৃতদেহ ফেলেও হল না শেষরক্ষা, ধৃত অভিযুক্ত

প্রথমে যখন মৃতদেহগুলি পাওয়া গিয়েছিল, তখন প্রাথমিক ভাবে গণ আত্মহত্যার কথা ভাবা হয়েছিল। পরে সামনে আসে আসল ঘটনা। অভিযুক্ত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

কুয়োর মধ্যে ন’জনকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক।

ওয়ারাঙ্গাল:

তেলেঙ্গানার (Telengana) ওয়ারাঙ্গাল জেলায় গত সপ্তাহে ন'জনকে খুনের অভিযোগে এক ২৪ বছরের যুবককে (Man Killed 9 In Telangana)সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই পরিবারের ছ'জন ও বিহারের দু'জন এবং ত্রিপুরার একজনকে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। মৃতদেহগুলি একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গত মার্চে এক মহিলার হত্যাকাণ্ডকে চাপা দিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের নাম সঞ্জয়কুমার যাদব। সে ওই ন'জনের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। তারপর তাঁরা অচেতন হয়ে পড়লে দেহগুলি কুয়োয় ফেলে দেয় সে।

তেলেঙ্গানার গিসুগোন্ডা মণ্ডল গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়ে গিয়েছে মার্চ মাসে নিহত এক মহিলার হত্যাকাণ্ড। ওই মহিলার সঙ্গে আত্মীয়তা ছিল এই পরিবারের। ওয়ারাঙ্গাল পুলিশ কমিশনার ভি রবিন্দর সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, ‘‘একটা খুনকে চাপা দিতে সে আরও ন'টি খুন করেছে।'' তিনি দাবি করেন, ওই যুবকের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয় সেচেষ্টা করবে পুলিশ।

Advertisement

অভিযুক্ত ৬ মার্চ এক মহিলাকে খুন করে বলে জানা যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে নিহত পরিবারের মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়। ওই পরিবারে ছিলেন মকসুদ, তাঁর স্ত্রী, তাঁদের দুই পুত্র, কন্যা বুশরা ও তাঁর ৩ বছরের পুত্র। সকলকেই হত্যা করেছে সঞ্জয়। পুলিশ জানাচ্ছে ন'জন নিহতের মধ্যে সাতজনই এক ব্যাগ কারখানায় কাজ করতেন।

Advertisement

মকসুদ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। ২০ বছর আগে তিনি সেখান থেকে তেলেঙ্গানায় চলে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর পরিবার দুই কামরার এই বাড়িতে বাস করত।

জানা যাচ্ছে, মকসুদের স্ত্রী সঞ্জয় যাদবকে প্রায়ই হুমকি দিতেন, তিনি ওই নিখোঁজ মহিলার বিষয়ে পুলিশকে জানাবেন। বিহার থেকে আগত সঞ্জয় এরপরই খুনের পরিকল্পনা করা শুরু করে।

Advertisement

প্রথমে যখন মৃতদেহগুলি পাওয়া গিয়েছিল, তখন প্রাথমিক ভাবে গণ আত্মহত্যার কথা ভাবা হয়েছিল। কেননা কোনও মৃতদেহেই গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরে আঘাতের চিহ্ন আবিষ্কার করেন তদন্তকারীরা।

অভিযুক্ত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement