377 ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্বাভাবিক যৌন ক্রিয়ায় লোপাট হলে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হবে।
লখনউ: মামলা চলছে আদালতে। আর বাইরে চলছে টিকে থাকার প্রবল লড়াই। সমকাম নিয়ে আদালত কী রায় দেবে তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্ত সমকামীদের কী ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা সকলেই কম বেশি জানেন। অনেকেই মনে করেন সমস্যাটা ছোট শহরে বেশি। নানা রকম হেনস্থার শিকার হওয়া সমকামীদের একটা বড় অংশ মনে করেন বড় শহরে এ জিনিস অনেক কম হয়।
লখনউর কয়েকজনা বাসিন্দা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। সদ্য তরুণী মেঘনা নন্দী ঘোষিত সমকামী। পরিচত থেকে শুরু করে অনেকেই জানেন তাঁর এই ব্যাপারটা। কয়েকদিন আগে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে। নিজের বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ক্যাফেতে গিয়েছিলেন মেঘনা। কফি খেয়ে চলে আসার সময় ফিডব্যাক বুকে তাঁর বান্ধবী নাম ও ফোন নম্বর লেখেন। একদিনের মাথায় ক্যাফের ম্যানেজার ফোন করেন। কী করলে ক্যাফের ভালো হয় সেই পরামর্শ অবশ্য চাননি তিনি। মেঘনার দাবি নিজেই পরামর্শ দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। বলেছেন তাঁর উচিত পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করা। তাহলে নাকি জীবনের আনন্দ পাওয়া যাবে।
শুধু মেঘনা নন, খোজঁ মিলেছে আরও কয়েকজনের। অনেক দিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন দুই যুবক যতীন মিশ্র এবং প্রীত। তাঁদেরও সাইট হয়েছে নানা কিছু। প্রীত আবার খোজঁ দিয়েছেন নির্যাতনের শিকারে আরও দুই সমকামীর। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধূমপান করার সময় তাঁদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শুধু তাই নয় ওই দুজনকে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে। এই তরুণ তরুণীদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন এক বৃদ্ধও। বছর ষাটের ওই ব্যক্তি নিজের জীবনে অনেকটা সময় দিল্লির বড় বড় কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করেছন। বেশ কয়েক বছর আগে লখনউতে চলে আসেন। আর এই ক'বছরে বার বার তাঁকে কটাক্ষ হজম করতে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে 377 ধারা থাকা না থাকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালত নিক। এই ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্বাভাবিক যৌন ক্রিয়ায় লোপাট হলে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হবে। সেটা এড়ানো 10 বছর জেলে থাকতে হবে , দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।