বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
হাইলাইটস
- 'বিভ্রান্তি রুখতে' ‘এনক্রিপশন’ ব্যবস্থার অবসান চায় কেন্দ্র
- সরকারি সূত্রের দাবি গোটা ব্যাপারটাই ভাবনা চিন্তার স্তরে আছে
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে
নিউ দিল্লি: দেশের দশটি তদন্ত সংস্থা কম্পিউটার,ল্যাপটপ বা মোবাইলের তথ্যের উপর নজরদারি করতে পারবে। দিন কয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। এবার ‘এনক্রিপশন' ব্যবস্থার অবসান করতে চাইছে কেন্দ্র। এর ফলে দুজনের মধ্যে কী কথা হচ্ছে তা বাইরের কেউ জানতে পারে না। এই ব্যবস্থাই শেষ করতে চাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি যাতে হোয়াটস অ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমকে ব্যবহার করে কোনও ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া না যায় তা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি গোটা ব্যাপারটাই ভাবনা চিন্তার স্তরে আছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির মতো ঘটনায় এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বার্তা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে বলে মনে করছে সরকার। সে সব রুখতে চাওয়াই কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য। তবে কেন্দ্রের দাবি তারা তথ্যের উপর নজরদারি করতে চায় না। তারা শুধু কেউ বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা ছবি ছড়িয়ে দিলে তাকে খুঁজে বের করতে। কীভাবে এমনটা করা সম্ভব তা খতিয়ে দেখছে এই মেসেজিং অ্যাপ।
দিন কয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় দেশের যে কোনও কম্পিউটারে হানা দিতে পারবে সিবিআই থেকে শুরু করে আইবি বা এনআইএ-র মতো দশটি সংস্থা। মন্ত্রকের সচিব রাজিব গৌবের সই করা যে নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এসেছিল তাতে বলা ছিল দশটি সংস্থা দেশের যে কোনও কম্পিউটারের উপর নজরদারি করতে পারবে। এর আগে ফোনের উপর নজরদারি করতে পারত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু এখন আইবি থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি তদন্ত সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানো হল। তার মধ্যে ‘র'-এর মতো সংগঠনও আছে।