This Article is From Sep 16, 2018

ভোটে কালো টাকার প্রভাব আটকাতে বর্তমান আইনগুলো যথেষ্ট নয়: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত শনিবার বললেন, এই মুহূর্তে দেশে যে আইনগুলি রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে নির্বাচনের সময় কালো টাকার প্রাদুর্ভাবকে মুছে ফেলা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না।

ভোটে কালো টাকার প্রভাব আটকাতে বর্তমান আইনগুলো যথেষ্ট নয়: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করে তোলাই এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় কাজ।

নিউ দিল্লি:

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত শনিবার বললেন, এই মুহূর্তে দেশে যে আইনগুলি রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে নির্বাচনের সময় কালো টাকার প্রাদুর্ভাবকে মুছে ফেলা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। এছাড়া, তথ্য চুরি, তথ্য লোপাট এবং ভূয়ো খবরের মতো বিষয়গুলিও দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার কাছে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বিষয়। “ভারতের নির্বাচনী গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জগুলি” শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র চটকদারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে চলতে পারে না কখনও। সাহস, চরিত্র, জ্ঞানের মতো জরুরি বিষয়গুলির অত্যন্ত প্রয়োজন গণতন্ত্রের স্তম্ভটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্যই। নির্বাচন কমিশনকে এ দেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কী কী সমস্যার সামনে পড়তে হয় তার একটি তালিকা দিতে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যাপারটা অনেকটা পাতাঝরার মরশুমের সুবিন্যস্ত ছবির মতো। যা দেশের নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলের কাছেই জরুরি। এই পদ্ধতিটা বিষিয়ে গেলে তার কুপ্রভাব পড়বে গোটা সমাজব্যবস্থার ওপরেই। যেটা প্রকৃত অর্থেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়।

“এই ভূয়ো খবরের যুগে, চটজলদি সব কিছুকে বিশ্বাস করে নেওয়ার যুগে, এই তথ্য চুরি বা তথ্য লোপাট বা তথ্য পরিবর্তনের যুগে শুধুমাত্র পারস্পরিক যোগাযোগের পথটিও ক্রমশ দুর্গম হয়ে পড়ছে, তা-ই নয়। একটি স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারগুলি আসলে পথের কাঁটার মতোই। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বই এই সমস্যার সম্মুখীন”, দিল্লিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন ওপি রাওয়াত।

তিনি অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন যে, নির্বাচন কমিশন অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মতোই এই ইস্যুগুলি নিয়েও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।

.