This Article is From Aug 04, 2019

জম্মু ও কাশ্মীরে বাড়ছে উত্তেজনা, সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক মেহবুবা মুফতির

জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় গত শুক্রবার পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার জন্য ‘অ্যাডভাইজরি’ জারি করে জম্মু কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসন

মেহবুবা মুফতি সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের কাছে বলেন, ‘পুলিশ কোনও হোটেলে সর্বদলীয় বৈঠক করতে দিচ্ছে না...'

নিউ দিল্লি:

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অবস্থা ভয়াবহ। গত সপ্তাহ ভোর সেখানে ৩৫ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। তারপরই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে পাক সেনা ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (amarnath yatra)। পর্যটকদেরও উপত্যকা থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সম্পূর্ণ বিষয় অবশ্য নীরব কেন্দ্র। আর তাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি। তারা মনে করছে রাজ্যকে দেওয়া বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার ৩৫-এ (Article35-A) ধারা বিলোপ করতেই মোদী সরকারের এই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা। রবিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে সর্বদলীয় বৈঠকের (all-party meeting) ডাক দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। উপত্যকার সব রাজনৈতিক দলকে রাজ্যের স্বার্থে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti) সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের কাছে বলেন, ‘পুলিশ কোনও হোটেলে সর্বদলীয় বৈঠক (all-party meeting) করতে দিচ্ছে না। পুলিশ সব হোটেলকে বলেছে যেন কোনও রাজনৈতিক দল হোটেল গুলিতে সভা করতে না পারে। তাই নিজের বাড়িতেই সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' এই সভায় ওমর আবদুল্লার এনসি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি থাকতে পারে। 

জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় গত শুক্রবার পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার জন্য ‘অ্যাডভাইজরি' জারি করে জম্মু কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসন। তার আগে সেনা জানায়, জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। পাক সেনার সাহায্যে বড়সড় হামলার ছক কষেছে তারা। উদ্ধার হয় একটি ল্যান্ডমাইন ও টেলিস্কোপ লাগানো মার্কিন এম-২৪ রাইফেল। ল্যান্ডমাইনের ছাপ বলছে, সেটি পাকিস্তানে তৈরি বলে দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পুরো বিষয়টিকেই কেন্দ্রের সাজানো বিষয় বলে দাবি করেছেন মেহবুবা মুফতি। ঘটনার পর পরই তিনি প্রশ্ন তোলেন পর্যটক, ক্রিটার ও অমরনাথ যাত্রীদের রাজ্য ছাড়ার কথা বলা হল। কিন্তু কাশ্মীরিদের সুরক্ষায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হল তা কেন জানানো হচ্ছে না? পুরো ঘটনায় সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব দাবি করেন এনসি নেতা ওমর আবদুল্লা। 

বিজেপি বহুদিনই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৫-এ (Article35-A) ধারা বিলোপের সমর্থক। এই ধারা হল জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার। যার মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারে কারা সে রাজ্যে স্থায়িভাবে বসবাসে সক্ষম। পিডিপি বা এনসি মনে করছে বিজেপি বর্তমানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ফলে গায়ের জোরে কৌশলে তারা জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ ধারা বিলোপে উদ্যত হয়েছে।

কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পিডিপি নেত্রীর (PDP Leader) বার্তা, ‘জম্মু-কাশ্মীরকে নিয়ে খেল চলছে। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে আগুন জ্বলবে। তাতে শুধু হাত পুড়বে না, পুরো দেহটাই ছাই হয়ে যাবে।'

বিরোধীরা যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব, তখন গতকালই ওমর আবদুল্লাকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satya pal Malik) জানিয়ে দেন, ৩৫-এ ধারা বিলোপের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও কেন্দ্রে পরিকল্পনায় নেই।

.