নয়া দিল্লি: আড়াই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা--একলাফে প্রায় ৩০০ শতাংশ বাড়ল জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের, বেতন। তারই প্রতিবাদে সোমবার সমাবর্তন দিবসে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) শতাধিক ছাত্র। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে প্রশাসন। সমাবর্তন উৎসবে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য ব্যারিকেড করে ছাত্রদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যা শিক্ষার্থীদের। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমাবর্তন স্থান থেকে ৮০০ কিমি দূরে তাঁদের আটকে দেয় প্রশাসন। সেই সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন উপাধ্যক্ষ ভেঙ্কাইয়া নাইডু। উপস্থিতছিলেন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অভিযোগ, এতদিন আড়াই হাজার টাকা বেতন হিসেবে নেওয়া হত ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে। সেই বেতন বেড়ে হয়েছে সাত হাজার টাকা। যা নিম্নবিত্ত পড়ুয়াদের সাধ্যের একেবারেই বাইরে। অবিলম্বে বেতন বৃদ্ধি না রুখলে বন্ধ হয়ে যাবে বহু শিক্ষার্থীর পড়াশোনা, আশঙ্কা পড়ুয়াদের। গত পাঁচদিনেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া না মেলায় বাধ্য হয়ে আজ তাঁরা প্রতিবাদ মিছিলে পথে নামেন।
শিবসেনার প্রতি 'পাওয়ার' সমর্থন! সনিয়ার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস
শুধু হস্টেল ফি-ই নয়, পোশাক নিয়ে নীতিপুলিশিতেও নাকি তিতিবিরক্ত জেএনইউ-র পড়ুয়ারা। ফলে, সোমবারের বিক্ষোভ ছিল যথেষ্ট জোরদার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কিছুটা এগোনোর পরেই তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এখন এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে আসছে। তাঁদের দাবি, কোনও আলোচনা না করেই নাকি আচমকা এই বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েও নাকি কথা রাখেননি সহ উপাচার্য মামিডালা জগদীশ কুমার (Mamidala Jagadesh Kumar)। পরে অবশ্য রমেশ পোখরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ঐশী ঘোষকে জানান, গোটা বিষয় পুনর্বিবেচিত হবে। যদিও এতে মত বদলাননি বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়া উচিত: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
সম্প্রতি জেএনইউ কর্তৃপক্ষের আনা একটি খসড়া প্রস্তাবে বেতনবৃদ্ধি, হোস্টেলে ঢোকা-বেরনোর সময়, পোশাক নিয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়মের কথা বলা হয়। এই প্রস্তাবে ইন্টার হল কর্তৃপক্ষের সায় থাকলেও মেনে নিতে পারেনননি পড়ুয়ারা। জমে থাকা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে সোমবারের প্রতিবাদ মিছিলে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মন্তব্য, শুরু থেকেই ছাত্রদের প্রতিবাদের পথে না হাঁটার অনুরোধ করা হলেও কান দেননি তাঁরা। কারণ, সামনেই পরীক্ষা থাকায় গণ্ডগোলের জেরে মনোযোগ নষ্ট হবে বহু শিক্ষার্থীর।