This Article is From Apr 08, 2019

আদবানী এবং মুরলী মনোহর যোশীর সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ

সোমবার দলের ইস্তেহার প্রকাশের পর এই দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, মোদী-শাহ জুটি তাঁদের 'গুরু'দের একঘরে করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে।

আদবানী এবং মুরলী মনোহর যোশীর সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ

হাইলাইটস

  • আজ আদবানী এবং যোশীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন অমিত
  • কয়েকটি কারণে এই দু’জন ক্ষুব্ধ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল
  • এই ঘটনায় মোদী – শাহ জুটিকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা
নিউ দিল্লি:

দলের দুই প্রবীণ নেতা  লালকৃষ্ণ আদবানী (L K Advani) এবং মুরলী মনোহর যোশীর  মান ভঞ্জনের চেষ্টা শুরু করল বিজেপি। সোমবার দলের ইস্তেহার প্রকাশের পর এই দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, মোদী-শাহ জুটি তাঁদের 'গুরু'দের একঘরে করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে। বিজেপি এই দুই নেতাকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ায়। সূত্র থেকে আগেই জানা গিয়েছিল আজ এই দুজনের সঙ্গে দেখা করতে  পারেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (BJP President Amit Shah )। নির্বাচনে ( Lok Sabaha Elaections 2019) লড়তে  না পারা থেকে  শুরু করে কয়েকটি কারণে  এই দু'জন ক্ষুব্ধ বলে  মনে  করে রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনায় মোদী – শাহ জুটিকে একযোগে আক্রমণ করেছে  বিরোধীরা। তাদের দাবি রাজনৈতিক গুরুদের সঙ্গে  বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন মোদী- শাহ।  এই  পরিস্থিতিতে  দলের দুই প্রবীণ সদস্যের সঙ্গে  দেখা  করতে পারেন অমিত। আজই প্রকাশ্যে এলো বিজেপির ইস্তেহার (BJP manifesto)।                                                                 

লালকৃষ্ণ আদবানী এবং মুরলী মনোহর যোশী দুজনেই বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। দুজনেই অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। আদবানীর পর প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশীকে এবার আর প্রার্থী করছে না বিজেপি। বয়স ৭৫ বা তার বেশি হয়ে গেলে নেতাদের অবসর নেওয়ার কথা বলছে  বিজেপি। এবার এই কারণে প্রার্থী হতে পারেননি দশ জন। তালিকায় লালকৃষ্ণ আদবানী থেকে  শুরু করে আরও অনেকেই আছেন। এবার কানপুরের সাংসদ মুরলী মনোহর যোশী ভোটারদের উদ্দেশে চিঠি লিখে দলের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন। কানপুরের ভোটারদের উদ্দেশে লেখাঁ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) আমাকে জানিয়েছেন কানপুর বা অন্য  কোথাও থেকে ভোটে লড়া উচিত নয়।                       

বোঝাই যাচ্ছে  দেশের প্রাক্তন উপপ্রধান মন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানীর মতো মুরলী মনোহর যোশীও বিজেপির আচরণে  ক্ষুব্ধ। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, এরকম একটা সিদ্ধান্ত  যে নেওয়া হচ্ছে তা দলের সভাপতি তাঁকে জানাতে পারতেন!  একই কথা  বলেছেন আদবানীও।               

.