This Article is From Feb 16, 2019

পরিচয় ‘ভারতীয়’! দেশের প্রথম ‘জাতি-ধর্মহীন’ নাগরিকের শংসাপত্র পেলেন এই মহিলা

স্নেহা বলেন, আমার সব শংসাপত্রে জাতি ও ধর্মের জায়গা আমি ফাঁকা রেখে গিয়েছি। এমনকি আমার জন্ম প্রমাণপত্র এবং স্কুলের সমস্ত শংসাপত্রেও কোথাও জাতি বা ধর্মের উল্লেখ নেই। এই সবগুলোতেই আমার পরিচয় রয়েছে আমি একজন ভারতীয়।

পরিচয় ‘ভারতীয়’! দেশের প্রথম ‘জাতি-ধর্মহীন’ নাগরিকের শংসাপত্র পেলেন এই মহিলা

ভারতের প্রথম 'জাতি-ধর্মহীন' মহিলা হলেন স্নেহা

তামিলনাড়ু:

পেশা- আইনজীবী।

জাতি- নেই।

ধর্ম- নেই।

৯ বছর ধরে নানা অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। অবশেষে লড়াই সফল! ভারতের প্রথম নারী হিসেবে জাতি-ধর্মহীন পরিচয়ের সরকারি শংসাপত্র পেলেন স্নেহা। তামিলনাড়ুর ভেলোরের তিরুপুতুরের বাসিন্দা স্নেহা নিজেই এই জাতি ও ধর্ম হীন শংসাপত্র বানাতে চেষ্টা করে গিয়েছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। ৯ বছর পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্নেহা অবশেষে দেশের সেই নাগরিক হতে পেরেছেন যার কোনও জাতি বা ধর্ম পরিচয় নেই। স্নেহা নিজেই নয় তাঁর বাবা মাও শৈশব থেকেই সমস্ত শংসাপত্রে জাতি ও ধর্মের জায়গা ফাঁকা রেখে দিতেন। 

“কোনও প্রশ্ন ফাঁস নেই, সব গুজব” টানা তিনদিন মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী

স্নেহা জানিয়েছেন যে, সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তার চেয়েও বেশি হল, স্নেহা নিজে মনে করতেন তাঁর জাতি বা ধর্ম পরিচয়ের আলাদা করে কোনও পরিচয় নেই।

49p3qg3

 

স্নেহা বলেন, আমার সব শংসাপত্রে জাতি ও ধর্মের জায়গা আমি ফাঁকা রেখে গিয়েছি। এমনকি আমার জন্ম প্রমাণপত্র এবং স্কুলের সমস্ত শংসাপত্রেও কোথাও জাতি বা ধর্মের উল্লেখ নেই। এই সবগুলোতেই আমার পরিচয় রয়েছে আমি একজন ভারতীয়। আমি মনে করি যে, সব আবেদন পত্রে এসব লেখার মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক মনোভাবই ফুটে ওঠে, অতএব আমার প্রয়োজন ছিল একটি বিশেষ শংসাপত্রের। যাতে আমি প্রমাণ করতে পারি যে আমার আসলে কোনও জাতি বা ধর্ম নেই। যদি জাতি ও ধর্মের জন্য শংসাপত্র হয় তাহলে ধর্ম ও জাতি হীনতার জন্য কেন থাকবে না? 

গর্ভস্থ সন্তানের মুখ দেখা হল না শহিদ জওয়ান বাবার, শোকার্ত পরিবারের ভবিষ্যৎ কী?

স্নেহা ২০১০ সালে ‘জাতি ধর্মহীন' (No-Caste, No-Religion) শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন এবং চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর হাতে আসে সেই শংসাপত্র। স্নেহাই ভারতের সেই প্রথম ব্যক্তি যার কাছে এই প্রমাণ রয়েছে। এখন কেবল স্নেহার নিজেরই নয়, তাঁর তিনটি কন্যারও জাতি ও ধর্মের কোথাও কোনও উল্লেখ নেই। স্নেহার এই পদক্ষেপের প্রশংসা  করেছেন দক্ষিণি অভিনেতা কমল হাসান। তিনি স্নেহার ‘No-Caste, No-Religion' শংসাপত্রের ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন।

.