Kashmir 35a

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি ‘সংবেদনশীল’ (sensitive)। কিন্তু, রাতারাতি অবস্থার বদল হবে না। কেই জানে না ভবিষ্যতে কি হতে পারে। সরকারের উপর ভরসা করতেই হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে যে সোমবার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করার কারণে, ভারতের সঙ্গে থর এক্সপ্রেসের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ স্থগিত রাখবে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের লাহোরের সঙ্গে ভারতের রাজধানী দিল্লির সংযোগকারী সমঝোতা এক্সপ্রেসকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়।

জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা নিয়ে ব্যাখা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, এর ফলে সেখানকার মানুষ মুক্ত হবেন এবং তাঁরা দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে আন্তরিক হয়ে উঠতে পারবেন। বিক্ষোভ এড়াতেই সেখানে বনধ করা হয়েছে বলেও এদিন জাতীর উদ্দ্যেশে ভাষণে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাবে, তারমধ্যে একটি, বিধানসভাযুক্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপরটি বিধানসভাবিহীন লাদাখ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে খড়গহস্ত হয় বিরোধীরা, তাঁদের অভিযোগ, “একতরফা” সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, এবং কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি।

কাশ্মীর ইস্যু (Kashmir Issue) নিয়ে মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সংসদের অধিবেশন। ইতিমধ্যেই আজ (মঙ্গলবার) লোকসভায় দলীয় সাংসদদের (Lok Sabha MP) উপস্থিতির জন্যে হুইপ (whip) জারি করল কংগ্রেস (Congress) । সোমবারই জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাস হয়ে যায় রাজ্যসভায়। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে (Jammu & Kashmir) ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং একে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে বিরোধী দল কংগ্রেস।

জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। এদিন ওয়াকআউট করে বহু বিরোধীদল, ফলে কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্যান্যরা সরকারের পক্ষেই যায়। এনডিএ রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। সরকারের পক্ষে যায় মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি, এবং বিষ্ময়করভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সব মিলিয়ে সরকারের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭। ২৪২ সদস্যের রাজ্যসভায় শাসক এডিএ-র পক্ষে ১০৭, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১।

৩৭০ নম্বর ধারায় জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়, সেটির অবসান করা উচত ছিল, কারণ, রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রবেশের এটি ছিল মূল দ্বার, সোমবার এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের জবাবে এমনটাই বললেন তিনি। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন মেলায় রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু থাকা সত্ত্বেও, সোমবার পাশ হয়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিল ২০১৯। ভোটাভুটির সময় রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়ার ফলে, এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা এবং সেখানে তথ্য জানার অধিকার আইন প্রযোজ্য হবে। সোমবার বিভিন্ন বিষয়সহ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এটি ছিল ১৯৪৭-এর অন্যতম একটি বিষয়। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই করা বিজ্ঞপ্তির “সঙ্গে সঙ্গেই” এটি কার্যকর হয়ে যাবে। এছাড়াও রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করতে একটি আলাদা বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লির মতোই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে, তবে লাদাকে বিধানসভা থাকবে না।

হওয়ায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করা হয়নি তাঁর। কালের নিয়মে মোদি-শাহ জমানায় মার্গ দর্শকের ভূমিকায় বর্ষীয়ান লালকৃষ্ণ আদবানি (LK Advani)। তাঁর গান্ধীনগর আসন থেকে জিতেই এবার লোকসভায় গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই অমিত শাহের হাত ধরেই বাতিল হয়েছে এতদিন সংবিধান প্রদত্ত জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা (Article 370)। ‘এক ভারত, এক সংবিধানে’র আওয়াজ তুলেছে বিজেপি।

এই প্রক্রিয়ার শুরু হয় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী বা CRPF সেনা মোতায়েনের মধ্যে দিয়ে। রবিবার সন্ধের মধ্যে অন্তত ৪৩০ কোম্পানি অর্থাৎ ৪৩,০০০ CRPF সেনা মোতায়েন করা হয় রাজ্যে।

Kashmir Article 370 : জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জনগণের সঙ্গে "বিশ্বাসঘাতকতা" বলে উল্লেখ করেন এবং একে তিনি সরকারের "আগ্রাসন" বলে উল্লেখ করেন।

Kashmir Article 370: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সে রাজ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ৮ হাজারেরও বেশি আধা সামরিক বাহিনী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে সে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

৩৭০ ধারা, যার বলে জম্মু ও কাশ্মীরে চালু ছিল ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’, তা তুলে নেওয়া হল বলে সোমবার সকালে সংসদে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পরে এই ঘোষণা করা হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জম্মু ও কাশ্মীর ‘পুনর্গঠিত’ হবে। রাজ্যটি দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে— একটি জম্মু ও কাশ্মীরে, অন্যটি লাদাখে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকাল ১১টায় সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে একটি বিবৃতি পেশ করবেন বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এক ঘণ্টার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রাজ্যের বহু এলাকার মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন ফোনের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যের তিন মুখ্য রাজনীতিবিদ মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং সাজাদ লোনকে তাঁদের বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে রবিবার রাত থেকে।

কাশ্মীরের এই অশান্ত অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুম্বই অভিনেতা অনুপম খের। টুইটে তাঁর ক্ষুব্ধ প্রশ্ন, "অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়েই কি শুরু কাশ্মীর সমাধান"?

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি ‘সংবেদনশীল’ (sensitive)। কিন্তু, রাতারাতি অবস্থার বদল হবে না। কেই জানে না ভবিষ্যতে কি হতে পারে। সরকারের উপর ভরসা করতেই হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে যে সোমবার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করার কারণে, ভারতের সঙ্গে থর এক্সপ্রেসের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ স্থগিত রাখবে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের লাহোরের সঙ্গে ভারতের রাজধানী দিল্লির সংযোগকারী সমঝোতা এক্সপ্রেসকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়।

জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা নিয়ে ব্যাখা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, এর ফলে সেখানকার মানুষ মুক্ত হবেন এবং তাঁরা দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে আন্তরিক হয়ে উঠতে পারবেন। বিক্ষোভ এড়াতেই সেখানে বনধ করা হয়েছে বলেও এদিন জাতীর উদ্দ্যেশে ভাষণে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যটি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাবে, তারমধ্যে একটি, বিধানসভাযুক্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অপরটি বিধানসভাবিহীন লাদাখ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে খড়গহস্ত হয় বিরোধীরা, তাঁদের অভিযোগ, “একতরফা” সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, এবং কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি।

কাশ্মীর ইস্যু (Kashmir Issue) নিয়ে মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সংসদের অধিবেশন। ইতিমধ্যেই আজ (মঙ্গলবার) লোকসভায় দলীয় সাংসদদের (Lok Sabha MP) উপস্থিতির জন্যে হুইপ (whip) জারি করল কংগ্রেস (Congress) । সোমবারই জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাস হয়ে যায় রাজ্যসভায়। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে (Jammu & Kashmir) ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং একে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে বিরোধী দল কংগ্রেস।

জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিক অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। এদিন ওয়াকআউট করে বহু বিরোধীদল, ফলে কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্যান্যরা সরকারের পক্ষেই যায়। এনডিএ রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। সরকারের পক্ষে যায় মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি, এবং বিষ্ময়করভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সব মিলিয়ে সরকারের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭। ২৪২ সদস্যের রাজ্যসভায় শাসক এডিএ-র পক্ষে ১০৭, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১।

৩৭০ নম্বর ধারায় জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়, সেটির অবসান করা উচত ছিল, কারণ, রাজ্যে সন্ত্রাসের প্রবেশের এটি ছিল মূল দ্বার, সোমবার এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের জবাবে এমনটাই বললেন তিনি। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন মেলায় রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু থাকা সত্ত্বেও, সোমবার পাশ হয়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিল ২০১৯। ভোটাভুটির সময় রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়ার ফলে, এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা এবং সেখানে তথ্য জানার অধিকার আইন প্রযোজ্য হবে। সোমবার বিভিন্ন বিষয়সহ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এটি ছিল ১৯৪৭-এর অন্যতম একটি বিষয়। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই করা বিজ্ঞপ্তির “সঙ্গে সঙ্গেই” এটি কার্যকর হয়ে যাবে। এছাড়াও রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করতে একটি আলাদা বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লির মতোই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে, তবে লাদাকে বিধানসভা থাকবে না।

হওয়ায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করা হয়নি তাঁর। কালের নিয়মে মোদি-শাহ জমানায় মার্গ দর্শকের ভূমিকায় বর্ষীয়ান লালকৃষ্ণ আদবানি (LK Advani)। তাঁর গান্ধীনগর আসন থেকে জিতেই এবার লোকসভায় গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই অমিত শাহের হাত ধরেই বাতিল হয়েছে এতদিন সংবিধান প্রদত্ত জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা (Article 370)। ‘এক ভারত, এক সংবিধানে’র আওয়াজ তুলেছে বিজেপি।

এই প্রক্রিয়ার শুরু হয় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী বা CRPF সেনা মোতায়েনের মধ্যে দিয়ে। রবিবার সন্ধের মধ্যে অন্তত ৪৩০ কোম্পানি অর্থাৎ ৪৩,০০০ CRPF সেনা মোতায়েন করা হয় রাজ্যে।

Kashmir Article 370 : জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জনগণের সঙ্গে "বিশ্বাসঘাতকতা" বলে উল্লেখ করেন এবং একে তিনি সরকারের "আগ্রাসন" বলে উল্লেখ করেন।

Kashmir Article 370: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সে রাজ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ৮ হাজারেরও বেশি আধা সামরিক বাহিনী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে সে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

৩৭০ ধারা, যার বলে জম্মু ও কাশ্মীরে চালু ছিল ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’, তা তুলে নেওয়া হল বলে সোমবার সকালে সংসদে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পরে এই ঘোষণা করা হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জম্মু ও কাশ্মীর ‘পুনর্গঠিত’ হবে। রাজ্যটি দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে— একটি জম্মু ও কাশ্মীরে, অন্যটি লাদাখে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকাল ১১টায় সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে একটি বিবৃতি পেশ করবেন বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এক ঘণ্টার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রাজ্যের বহু এলাকার মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন ফোনের পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্যের তিন মুখ্য রাজনীতিবিদ মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং সাজাদ লোনকে তাঁদের বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে রবিবার রাত থেকে।

কাশ্মীরের এই অশান্ত অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুম্বই অভিনেতা অনুপম খের। টুইটে তাঁর ক্ষুব্ধ প্রশ্ন, "অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়েই কি শুরু কাশ্মীর সমাধান"?