Alliance

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ফের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে নাকি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে জোট শরিক তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতির অন্দরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখনও দেশ জুড়ে বিক্ষোভ (CAA Protests) চলছে, বিরোধীরা বলছেন বিতর্কিত এই আইনটি প্রয়োগ করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার সিএএ (Citizenship Amendment Act) নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির জোটসঙ্গী ও শিরোমণি আকালি দলের (Shiromani Akali Dal) নেতা প্রকাশ সিং বাদল। একটি সরকারের কখনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়, বললেন তিনি। পাশাপাশি সব ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান ওই প্রবীণ নেতা(Parkash Singh Badal)।

মহারাষ্ট্রের জেলা পরিষদ নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেলো বিজেপি। সে রাজ্যের জেলা পরিষদের বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে বিরোধীরা। অনেক পিছিয়ে বিজেপি। আরএসএসের গড় তথা সদর দফতর হিসেবে পরিচিত নাগপুরে গেরুয়া শিবির সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। নাগপুর গ্রামীণের ৫৮টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস, শিবসেনা আর এনসিপি। কংগ্রেস একাই এগিয়ে ৩০টি আসনে।এনসিপি ১১ আর শিবসেনা একটা আসনে এগিয়ে। আরও সবচেয়ে বড় ধাক্কা নাগপুরের ধাপেয়ারা আসনে বিজেপির পরাজয়।

কেবল সুশীল মোদিই নন, জেডিইউ সাংসদ আরসিপি সিংহও প্রশান্তকে আক্রমণ করেন। তিনিও তাঁর নাম না করে বলেন, কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেন, আলোকবৃত্তে থাকার জন্য।

বুধবার বসন্তদাদা সুগার ইন্সিটিউট গিয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারের প্রশংসা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। একমাস হল মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা, এনসিপি আর কংগ্রেস জোট।  সে রাজ্যে এখন বিরোধী দল বিজেপি। যদিও বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ দিন কয়েক আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন, তারাই বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Election) বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-আরজেডি জোট (Congress-JMM-RJD Alliance), তারপরেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে একহাত নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) । .

প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর নাকি "না" বলে দিয়েছেন তিনি, অন্তত এমনটাই দাবি করছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বেসর্বা (Sharad Pawar) বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "একসঙ্গে কাজ করার" প্রস্তাব দেন, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট (Shiv Sena-NCP-Congress alliance) তৈরিতে এনসিপি প্রধানের বড় ভূমিকা ছিল। শরদ পাওয়ার আরও বলেন যে তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi), কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন তিনি।

শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হল। ৫৯ বছরের উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে এই জোট পেয়েছে ১৬৯টি ভোট।

বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) দ্বিতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ভোর ৫.৪৭ নাগাদ মহারাষ্ট্রে বাতিল করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর কোনও দলই সে রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি না জানাতে পারায় ১২ নভেম্বর থেকে সে রাজ্যে জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন (President's Rule in Maharashtra)। কিন্তু শনিবার সকালেই নাটকীয় ভোলবদল, সব হিসাব পাল্টে দিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার (Maharashtra Government Formation) গড়ল বিজেপি।

মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন অজিত পাওয়ার। এনসিপির সহায়তায় মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপি সরকার গড়ায় অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে শুভেচ্ছা জানালেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে।

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে আজই জোট ঘোষণা করতে পারে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি। সমস্ত দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবে শিবসেনার, এমনটাই জানিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। “মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি” সরকারে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই নেতৃত্ব দেবেন কিনা, তা এখনও ঠিক নয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সূত্রের খবর, যখন শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে বলেন, তিনি জানান, দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। বৈঠকে আদিত্য ঠাকরের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রথমবার তিন দল একসঙ্গে সরকার গড়ছে, ফলেে তাদের মধ্যেএকটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে আজই।

আবারও শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তে আক্রমণ করা হল বিজেপিকে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে এসে কার্যত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে মিলেই সরকার গড়ার চেষ্টা করছে শিবসেনা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখপত্রতে আরও একবার আক্রমণ করা হল গেরুয়া শিবিরকে। শিবসেনার সাংসদদের বিরোধীদের আসনে বসতে বাধ্য করার পর এনডিএ থেকে তাদের বহিষ্কার করার কথাও ঘোষণা করেছে বিজেপি। কোনও আলোচনা না করেই তারা ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে শিবসেনা।

সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session Of Parliament)। তার আগে রবিবার দু’টি সর্বদলীয় বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্রিত হয়ে অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করবেন। শনিবারই বৈঠক শুরু হয়েছে। এবারের অধিবেশনে নাগরিক (সংশোধনী) বিল পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিলে অন্য দেশের অ-মুসলিম নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানান, তিনি একটি ফলপ্রসূ সংসদ অধিবেশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন যেখানে গণকেন্দ্রিক ও উন্নয়নমূলক ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা হবে। প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকের আগে এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনা (Shiv Sena) ওই বৈঠকে থাকবে না বলে জানিয়েছে।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি থেকে সরে এলো বিজেপি, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিজেপির প্রধান। সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় জোটসঙ্গী শিবসেনার ঘাড়েই দোষ চাপাল গেরুয়া দল।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার (Maharashtra assembly) মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি, এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বার্তা দিল, জোটসঙ্গী শিবসেনার (Shiv Sena) সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের দরজা “২৪ ঘন্টাই খোলা”। তবে গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বেই সরকার গড়বে তারা। এদিনই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁদের দলের তরফেই।

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ফের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে নাকি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে জোট শরিক তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতির অন্দরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখনও দেশ জুড়ে বিক্ষোভ (CAA Protests) চলছে, বিরোধীরা বলছেন বিতর্কিত এই আইনটি প্রয়োগ করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার সিএএ (Citizenship Amendment Act) নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির জোটসঙ্গী ও শিরোমণি আকালি দলের (Shiromani Akali Dal) নেতা প্রকাশ সিং বাদল। একটি সরকারের কখনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়, বললেন তিনি। পাশাপাশি সব ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান ওই প্রবীণ নেতা(Parkash Singh Badal)।

মহারাষ্ট্রের জেলা পরিষদ নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেলো বিজেপি। সে রাজ্যের জেলা পরিষদের বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে বিরোধীরা। অনেক পিছিয়ে বিজেপি। আরএসএসের গড় তথা সদর দফতর হিসেবে পরিচিত নাগপুরে গেরুয়া শিবির সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। নাগপুর গ্রামীণের ৫৮টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস, শিবসেনা আর এনসিপি। কংগ্রেস একাই এগিয়ে ৩০টি আসনে।এনসিপি ১১ আর শিবসেনা একটা আসনে এগিয়ে। আরও সবচেয়ে বড় ধাক্কা নাগপুরের ধাপেয়ারা আসনে বিজেপির পরাজয়।

কেবল সুশীল মোদিই নন, জেডিইউ সাংসদ আরসিপি সিংহও প্রশান্তকে আক্রমণ করেন। তিনিও তাঁর নাম না করে বলেন, কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেন, আলোকবৃত্তে থাকার জন্য।

বুধবার বসন্তদাদা সুগার ইন্সিটিউট গিয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারের প্রশংসা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। একমাস হল মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা, এনসিপি আর কংগ্রেস জোট।  সে রাজ্যে এখন বিরোধী দল বিজেপি। যদিও বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ দিন কয়েক আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন, তারাই বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Election) বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-আরজেডি জোট (Congress-JMM-RJD Alliance), তারপরেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে একহাত নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) । .

প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর নাকি "না" বলে দিয়েছেন তিনি, অন্তত এমনটাই দাবি করছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বেসর্বা (Sharad Pawar) বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "একসঙ্গে কাজ করার" প্রস্তাব দেন, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট (Shiv Sena-NCP-Congress alliance) তৈরিতে এনসিপি প্রধানের বড় ভূমিকা ছিল। শরদ পাওয়ার আরও বলেন যে তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi), কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন তিনি।

শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হল। ৫৯ বছরের উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে এই জোট পেয়েছে ১৬৯টি ভোট।

বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) দ্বিতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ভোর ৫.৪৭ নাগাদ মহারাষ্ট্রে বাতিল করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। গত মাসের নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর কোনও দলই সে রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি না জানাতে পারায় ১২ নভেম্বর থেকে সে রাজ্যে জারি করা হয় রাষ্ট্রপতি শাসন (President's Rule in Maharashtra)। কিন্তু শনিবার সকালেই নাটকীয় ভোলবদল, সব হিসাব পাল্টে দিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার (Maharashtra Government Formation) গড়ল বিজেপি।

মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন অজিত পাওয়ার। এনসিপির সহায়তায় মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপি সরকার গড়ায় অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে শুভেচ্ছা জানালেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে।

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে আজই জোট ঘোষণা করতে পারে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি। সমস্ত দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবে শিবসেনার, এমনটাই জানিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। “মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি” সরকারে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই নেতৃত্ব দেবেন কিনা, তা এখনও ঠিক নয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সূত্রের খবর, যখন শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে বলেন, তিনি জানান, দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। বৈঠকে আদিত্য ঠাকরের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রথমবার তিন দল একসঙ্গে সরকার গড়ছে, ফলেে তাদের মধ্যেএকটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে আজই।

আবারও শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তে আক্রমণ করা হল বিজেপিকে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে এসে কার্যত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে মিলেই সরকার গড়ার চেষ্টা করছে শিবসেনা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখপত্রতে আরও একবার আক্রমণ করা হল গেরুয়া শিবিরকে। শিবসেনার সাংসদদের বিরোধীদের আসনে বসতে বাধ্য করার পর এনডিএ থেকে তাদের বহিষ্কার করার কথাও ঘোষণা করেছে বিজেপি। কোনও আলোচনা না করেই তারা ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে শিবসেনা।

সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session Of Parliament)। তার আগে রবিবার দু’টি সর্বদলীয় বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্রিত হয়ে অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করবেন। শনিবারই বৈঠক শুরু হয়েছে। এবারের অধিবেশনে নাগরিক (সংশোধনী) বিল পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিলে অন্য দেশের অ-মুসলিম নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী টুইট করে জানান, তিনি একটি ফলপ্রসূ সংসদ অধিবেশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন যেখানে গণকেন্দ্রিক ও উন্নয়নমূলক ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা হবে। প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকের আগে এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনা (Shiv Sena) ওই বৈঠকে থাকবে না বলে জানিয়েছে।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি থেকে সরে এলো বিজেপি, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিজেপির প্রধান। সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় জোটসঙ্গী শিবসেনার ঘাড়েই দোষ চাপাল গেরুয়া দল।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার (Maharashtra assembly) মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি, এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বার্তা দিল, জোটসঙ্গী শিবসেনার (Shiv Sena) সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের দরজা “২৪ ঘন্টাই খোলা”। তবে গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বেই সরকার গড়বে তারা। এদিনই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁদের দলের তরফেই।