This Article is From Dec 03, 2019

কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে মন্ত্রী পদ দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী: শরদ পাওয়ার

গত মাসে রাজ্যসভার আড়াইশোতম অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের দরাজ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi

কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে মন্ত্রী পদ দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী: শরদ পাওয়ার

প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকলেও একসঙ্গে কাজ করবেন না, বললেন Sharad Pawar

হাইলাইটস

  • প্রধানমন্ত্রী "একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন", বলেন শরদ পাওয়ার
  • এনসিপি প্রধান বলেন, "আমি তাঁকে বলি আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো"
  • "কিন্তু আমাদের একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়", বলেন পাওয়ার
মুম্বই:

প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর নাকি "না" বলে দিয়েছেন তিনি, অন্তত এমনটাই দাবি করছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বেসর্বা (Sharad Pawar) বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "একসঙ্গে কাজ করার" প্রস্তাব দেন, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট (Shiv Sena-NCP-Congress alliance) তৈরিতে এনসিপি প্রধানের বড় ভূমিকা ছিল। শরদ পাওয়ার আরও বলেন যে তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi), কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন তিনি।

"প্রধানমন্ত্রী মোদি একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম যে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল এবং সেই সম্পর্ক বজায় থাকবে তবে আমার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়", সোমবার একটি মারাঠি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কথা বলেন তিনি।

তবে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে দেশের রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব এসে ছিল, এই খবরে যদিও উড়িয়ে দেন তিনি। "তবে মোদি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় সুপ্রিয়া (সুলে) কে মন্ত্রী করার প্রস্তাব ছিল", বলেন তিনি। পুনে জেলার বারামতী থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।

দুটি শর্ত মেনে নিলেই এনসিপি-র সমর্থন পেত বিজেপি, রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী, কেন?

গত মাসে রাজ্যসভার আড়াইশোতম অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের দরাজ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী; তিনি বলেন যে বিজেপি সহ কয়েকটি দলকে সংসদীয় রীতিনীতি কীভাবে মেনে চলতে হয় সে বিষয়ে এনসিপি নেতার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী এই মারাঠা রাজনীতিবিদের প্রশংসা করেন।

২০১৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন পুনের বসন্তদাদা সুগার ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে যান, তখনও তিনি এনসিপি প্রধানের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি পাওয়ারের প্রতি ব্যক্তিগত ভাবে শ্রদ্ধাশীল। আমি সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। তিনি আমাকে আঙুল ধরে রাজনীতির পথে চলতে সাহায্য করেছিলেন। আমি সবার সামনে এই কথা জানাতে পেরে গর্ববোধ করছি।"

মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে পারে শরদ পাওয়ারের এনসিপি

সম্প্রতি যখন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্যে চেষ্টা করছিল বিজেপি, সেই সময় কিন্তু গেরুয়া দলের পাশে দাঁড়াননি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার প্রথমে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারকে সমর্থন জানালেও এনসিপি প্রধান বলেন এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। পরে যদিও ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ফড়নবিশের পাশ থেকে সরে আসেন অজিত। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

চোখ রাখুন অন্যান্য খবরেও:

.