This Article is From Nov 30, 2019

দুটি শর্ত মেনে নিলেই এনসিপি-র সমর্থন পেত বিজেপি, রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী, কেন?

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই দেখা গেছে বহু নাটকীয়তা

দুটি শর্ত মেনে নিলেই এনসিপি-র সমর্থন পেত বিজেপি, রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী, কেন?

শরদ পাওয়ার ও প্রধানমন্ত্রী মোদি (ফাইল চিত্র)

নতুন দিল্লি:

বিজেপি-র সাথে হাত মেলাতে রাজি ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) কিন্তু তার জন্য তিনি রেখেছিলেন দুটি শর্ত। প্রথম শর্ত ছিল, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে কৃষি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হোক, সেই সাথে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পরিবর্তে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসাতে চেয়েছিলেন পাওয়ার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কানে এই শর্ত যাওয়ার পর তিনি কিছুতেই রাজি হন না। আসলে, বিজেপির সূত্র থেকে জানা গেছে, দলীয় নেতৃত্বর মনে হয়েছিল, যদি মহারাষ্ট্রকে মুষ্ঠিবদ্ধ করার জন্য এনসিপির এমন দাবি মেনে নেন তারা তবে বিহারের পুরানো সহযোগী দল জেডি(ইউ) রেল মন্ত্রণালয় দাবি করে বসতে পারে, সেক্ষেত্রে ধর্ম সংকটের সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ, এতবড়ো সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরেও দুটি বড়োসড়ো বিভাগ বিজেপি-র হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। 

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী Uddhav Thackeray-কে

সূত্র অনুসারে, দ্বিতীয় শর্তও মেনে নিতে রাজি হয়নি বিজেপি সরকার, কারণ মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যে গত পাঁচ বছর ধরে নিষ্কলঙ্ক সরকার চালিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফড়নবিশকে দলের মুখ করেই প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি দল। ২৪ অক্টবর নির্বাচনের ফলাফল আসার দিনেও দলের মুখ্যালয়ে কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়তেও দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই রকম সময়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বদলে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা  বিজেপির পক্ষে সম্ভব ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর উচিত "ছোট ভাই উদ্ধব ঠাকরেকে সহযোগিতা করা": শিবসেনা 

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই দেখা গেছে বহু নাটকীয়তা।সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিভিন্ন বৈঠকের পর কংগ্রেস-এনসিপি শিবসেনার সাথে হাত মিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরেকেই মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ঘোষণা করে। শনিবার রাতে এই তিন দল রাজভবনে গিয়ে  নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে বলে ঠিক হয়, ইতিমধ্যে  এনসিপির অজিত পাওয়ার রাতারাতি বিজেপির সাথে হাত মেলায়।সকাল আটটায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। তারপর অজিত পাওয়ার বিজেপির হাত ছেড়ে দেওয়ায় কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা মিলে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গড়ে তুলেছে, যার আস্থা ভোট আজ।  

এদিকে নাগপুর থেকে সঙ্ঘ ও বিজেপি-র অন্যতম ব্যক্তিত্ব দিলীপ দেবঘর জানিয়েছেন,''সঙ্ঘ পরিবারে শরদ পাওয়ারের এই দুটি দাবি নিয়ে খুবই আলোচনা হয়েছে।প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু মেনে নেবেন কিনা সেই নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের অন্যতম সমস্যা হল কৃষি সমস্যা, তাই সেখানকার রাজনীতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিরাট বড়ো ভূমিকা পালন করেছে। আগেও শরদ পাওয়ার কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, তাই তাঁর পরিবর্তে অন্যকাউকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। শরদ পাওয়ার যখন বুঝতে পারেন বিজেপি কোনো মতেই তাঁর দাবি মেনে নেবে না, তখন উনি শিবসেনা-কংগ্রেসের হাত ধরে মহারাষ্ট্রের নতুন ইতিহাস গড়ার পথে অগ্রসর হন।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.