This Article is From May 26, 2020

"আমরা মহারাষ্ট্রের নির্ণায়ক শক্তি নই": রাহুল গান্ধির এই মন্তব্যে বিতর্ক

মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে জোট শরিক এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের সংবাদ এড়িয়ে গেলেন রাহুল গান্ধি

কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা

হাইলাইটস

  • ন্দ্বের খবরটির বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে এড়িয়ে গেলেন রাহুল গান্ধি
  • জোটসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের ফাটলের কথা অস্বীকার করেছে শিবসেনা এবং এনসিপি
  • লকডাউনের মেয়াদ নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেন শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরে
নয়াদিল্লি:

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ফের রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে নাকি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে জোট শরিক তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতির অন্দরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। যদিও বারবারই জোটসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের ফাটলের কথা অস্বীকার করেছে শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, উভয়েই। আর এসবের মধ্যেই এই দ্বন্দ্বের খবরটির বিষয়ে সেভাবে কোনও মন্তব্য করা থেকে এড়িয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও। একসময় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বিষয়ে দলের সমস্ত গতিবিধি নখদর্পণে রাখতেন সনিয়া পুত্র (Rahul Gandhi) । এখন স্বেচ্ছায় সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও কংগ্রেসের বিষয়ে বকলমে বহু সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকেন রাহুল। তাই মহারাষ্ট্রে জোট শরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়ার ঢঙে বলেন, "আমি এখানে আপনাদের একটা বিষয়ে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিতে চাই যে, আমরা মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছি বটে, তবে আমরা কখনোই ওই রাজ্যের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বা নির্ণায়ক শক্তি নই। আমরা পঞ্জাব, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং পুদুচেরিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসাবে রয়েছি। সরকারে থাকা আর সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করা, এই দুই বিষয়ের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য রয়েছে"। মহারাষ্ট্রে যেভাবে করোনা ভাইরাসের সঙ্কট বাড়ছে এবং এই কঠিন সময়ে যেভাবে সেখানকার ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে মতবিরোধের কথা সামনে আসছে তা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রীতিমতো দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন রাহুল।
"আমি খুব স্পষ্টভাবে একটা কথা জানাতে চাই যে মহারাষ্ট্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, মুম্বই দেশের বাণিজ্য নগরী তথা আর্থিক রাজধানী। সেখানে করোনা সংক্রমণ রুখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হলেও  অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সময় কেন্দ্রেরও উচিত ওই রাজ্যের দিকে আরও বেশি করে মনোযোগ দেওয়া", বলেন ওই  কংগ্রেস সাংসদ।

দেশে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যে দেখা গেছে তা হল মহারাষ্ট্র। এই অবস্থায় সেখানকার লকডাউনের মেয়াদ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এই বৈঠককে ঘিরেই নানা জল্পনা দেকা দিয়েছে।

সোমবার মুম্বইয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর বাসভবন ‘মাতশ্রী'-তে সাক্ষাৎ করেন এনসিপি প্রধানের সঙ্গে। সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ার নাকি লকডাউন আস্তে আস্তে তুলে দিয়ে রাজ্যের অর্থনৈতিক সক্রিয়তাকে বাড়ানোর বিষয়ে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এও জানা যাচ্ছে যে, মহারাষ্ট্র সরকারের অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি শরদ পাওয়ারের পরামর্শ মানতে নাকি অনিচ্ছুক উদ্ধব ঠাকরে। আর এই কারণেই বেজায় চটেছেন শরদ পাওয়ার। বৈঠকের আগে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এনসিপি প্রধান। যা থেকে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।

NDTV-কে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শরদ পাওয়ার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন,  তিনি শিবসেনা ও কংগ্রেসের সঙ্গে গড়ে তোলা জোটের প্রতি দায়বদ্ধ। সম্প্রতি হওয়া বৈঠক কোনও ভাবেই জোটসঙ্গীদের মধ্যে ভাঙনের ইঙ্গিতবাহী নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাওয়ারের বৈঠকে কংগ্রেসের কেউ উপস্থিত ছিলেন না, এপ্রসঙ্গে NDTV-কে পাওয়ার জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটসঙ্গী তিনটি দলই একত্রিত রয়েছে এবং তাঁরা একজোট হয়েই এই করোনা সঙ্কটের মোকাবিল‌া করছে এবং করবে।

.