This Article is From Nov 10, 2019

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে বিজেপির অস্বীকারের পর শিবসেনাকে সরকার গড়ার ডাক রাজ্যপালের

৫০:৫০ সূত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে একমত না হওয়ায় সরকার গঠনে অপারগ হয় বিজেপি-শিবসেনা জোট, তখনই একক বৃহত্তম দল বিজেপিকে সরকার গঠনের ডাক দেন রাজ্যপাল

Maharashtra: দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাসভবনে বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বিজেপি

মুম্বই:

শিবসেনা-বিজেপি জটের (BJP-Shiv Sena Alliance) অন্তর্দ্বন্দ্বের জের, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি থেকে সরে এলো বিজেপি, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিজেপির প্রধান। সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় জোটসঙ্গী শিবসেনার ঘাড়েই দোষ চাপাল গেরুয়া দল। রবিবার দলের কোর কমিটির সদস্যরা মিলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাসভবনে লাগাতার দুবার বৈঠক করেন, সেখানেই সরকার গঠনের দাবি না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরে, রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাতিল সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন, "জনাদেশ শিবসেনা-বিজেপি জোটের পক্ষে ছিল। তাই আমরা কখনোই একক ভাবে সরকার গঠন করে সেই জনাদেশের অপমান করতে পারি না। শিবসেনা যদি মহারাষ্ট্রের জনগণের রায়কে  অবমাননা করতে চায় এবং এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এ রাজ্যে সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাঁদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা রইল"। অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রে রীতিমতো সুকৌশলী চাল দিল গেরুয়া দল।

৫০:৫০ সূত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে একমত না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অপারগ হয় বিজেপি-শিবসেনা জোট, তারপরেই একক বৃহত্তম দল বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্যে ডাক দেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

“সব পথ খোলা”, উদ্ধব ঠাকরের এই মন্তব্যে মর্মাহত, বলললেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

এর আগে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি-শিবসেনা জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। উদ্ধব ঠাকরের দল দাবি করে যে বিজেপির সঙ্গে হওয়া ৫০:৫০ সূত্রের শর্ত মেনে ৫ বছরের মেয়াদ কালে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ ভাগ হওয়া উচিত। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আগামী ৫ বছরের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে দিতে আপত্তি জানায় তাঁরা। এরপরেই তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। বিজেপি সাফ জানিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও ভাগাভাগির রফায় যেতে রাজি নয় তাঁরা। ওদিকে শিবসেনা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে, ফলে অবস্থা ক্রমশই জটিল হতে থাকে।

এদিকে বিজেপির তরফ থেকে তাঁদের দলের বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করা হতে পারে এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই শিবসেনা নিজেদের দলের সমস্ত বিধায়ককে মুম্বইয়ের মাধ আইল্যান্ডের একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের দলটি এভাবেই নিজেদের দলের বিধায়কদের বিজেপির কাছে বিক্রি হওয়ার থেকে রুখতে চায়। শোনা যাচ্ছে উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরে নিজেও ওই রিসর্টে গিয়ে তাঁর দলের বিধায়কদের সঙ্গে থাকছেন। এদিকে নিজেদের বিধায়কদের মহারাষ্ট্রে রাখারই ভরসা পায়নি কংগ্রেস। তাঁরা নিজেদের ৪১ বিধায়ককে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে।

‘‘১৫ দিন কেন এক মাস নিক'': মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা শিবসেনার

"আমাদের বিশ্বাস যে বিজেপি বিধায়কদের কেনার জন্য সব রকম চেষ্টা করবে, তবে আমি এ ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী যে কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে এই ঘোড়া কেনাবেচার ব্যবসা করা সম্ভব হবে না", বলেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।

উদ্ধব ঠাকরের দল থেকে বলে দেওয়া হয় যে বিজেপি যদি তাঁদের দাবি মানতে রাজি না হয় তাহলে নিজেদের তৎপরতাতেই সরকার গঠন করতে রাজি শিবসেনা। তবে মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনা থেকেই, সাফ জানান দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।

.