This Article is From Aug 18, 2019

জম্মুতে ডানপন্থীদের ব়্যালি, বন্ধ মোবাইল, ইন্টারনেট

স্থানীয় সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল জম্মুতে বাইক ব়্যালি করে। তার জেরে যাতে কোনও বিক্ষোভ বা হিংসা না ছড়ায় তাই এই পদক্ষেপ।

জম্মুতে ডানপন্থীদের ব়্যালি, বন্ধ মোবাইল, ইন্টারনেট

ধাপে ধাপে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানায় সরকার (ফাইল)

জম্মু:

গত কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতি শান্তই রয়েছে। বেশ কয়েকদিন হল জম্মুর নিয়ন্ত্রণও শিথিল করা হয়েছে। টেলিফোন থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা মিলতে শুরু করেছিল জম্মুর (Jammu) পাঁচ জেলায়। তবে রবিবারই ছন্দপতন। জম্মুজুড়ে মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবা । অনেক জায়গায় বন্ধ টেলিফোনও। প্রশাসন বলছে যান্ত্রিক কারণেই এই হাল। স্থানীয়দের দাবি অবশ্য অন্য। জম্মুর বাসিন্দারা মনে করছেন, অতি ডানপন্থী দুটি সংগঠনের বাইক ব়্যালি থেকে যাতে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্যই মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। স্থানীয় সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল (Vishwa Hindu Parishad and Bajrang Dal) জম্মুতে বাইক ব়্যালি করে। তার জেরে যাতে কোনও বিক্ষোভ বা হিংসা না ছড়ায় তাই এই পদক্ষেপ।

কাশ্মীরের পর এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নজর রাজনাথ সিং-এর

দু'সপ্তাহ আগেই কেন্দ্র, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) বিশেষ অধিকার রদের বিষয়টি ঘোষণা করে।এছাড়াও জানায়, রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত  অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হবে। তার আগে থেকেই অবশ্য উপত্যকাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বাড়তি প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।  বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ ৪০০ রাজনৈতিক কর্মীকে বন্দি করে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

গত সপ্তাহে অবশ্য পরিস্থিতি বিচার করে জম্মুর পাঁচ জেলাতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা সচল করা হয়। সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, হিংসা ও অশান্তি না হলে পরিস্থিতি বিচার করে পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হবে। তারই জের টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার পুনপ্রতিষ্ঠা।   

উপত্যকায় দীর্ঘকালীন শান্তির লক্ষ্যে চার স্তরের ব্লু-প্রিন্ট কেন্দ্রের

কাশ্মীরে রয়েছে ১০০টিরও বেশি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ । সরকারি হিসাবে, তার মধ্যে ১৭টি চালু হয়েছে। মধ্য কাশ্মীরের বদগাঁও, সোনমার্গ এবং মণিগাঁও এলাকায় মিলছে পরিষেবা। উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, তাঙ্গমার্গ, উরি, কেরান কারনাথ এবং তাঙ্গধর অঞ্চলের বাসিন্দারাও আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ফিরে পেয়েছেন। শ্রীনগরের বন্দর, সিভিল এলাকা ও ক্যান্টনমেন্টে এই পরিষেবা ফের চালু হয়। সরকারি এক আধিকারিক জানান, আরও ২০টি এক্সচেঞ্জ সচল করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে আদালতে ৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদকারীদের দাবি, নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হোক।
.