জেলেই আত্মঘাতী মার্কিন ধনকুবের
নিউইয়র্ক: জেলের মধ্যেই আত্মঘাতী হলেন মার্কিন ধনকুবের জেফরে এফস্টেইন (Jeffrey Epstein)। শনিবার সকাল সাতটায় জেলের মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জেফরে এফস্টেইনের (Jeffrey Epstein,) বিরুদ্ধে নাবালিকা পাচার (Trafficking) ও একাধিক ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ ছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জেলেই রয়েছেন এফস্টেইন। এর আগেও বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মার্কিন এই ধনকুবের (US billionaire )। গলায় তার চিহ্নও দেখা গিয়েছিল। তবে প্রতিবারই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। এরপর থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয় জেফরে এফস্টেইনের। কিন্তু তাও কাজে এল না। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে আত্মহত্যা করে বসেন মার্কিন ধনকুবের।
নাবালিকা পাচার ও ধর্ষণের একাধিক মামলা চলছিল জেফরে এফস্টেইনের (Jeffrey Epstein) বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগেই নিউইয়র্কের একটি আদালতে তার শুনানি ছিল। সেখানেই ম্যানহাটানের কারাগারে বন্দি মার্কিন ধনকুবেরের জামিন নাকচ হয়ে যায়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার ৪৫ বছর জেল খাটা প্রায় নিশ্চিত ছিল।
আদালতের বিচারক শুনানিতে বলেন, জেফরে এফস্টেইন (Jeffrey Epstein) একটি ব্যক্তিগত জেট প্লেনের মালিক। তার বাড়িতে তলৱ্লাশির সময় উদ্ধার হয়েছে অস্ট্রেলিয় পাসপোর্ট ও ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ফলে জামিন দিলে এই প্রভাবশালী প্রমাণ লোপাট করে দিতে পরেন। তাই তার জামিন নাকচ করা হয়।
ধনকুবের, জেফরে এফস্টেইনের আইনজীবী আদালতে দাবি জানিয়েছিলেন, পুলিশি ভিডিও ক্যামেরা নজরদারিতে এফস্টেইনের প্রাসাদোপম বাড়িটি রাখা হোক। কারণ, জেফরে এফস্টেইনের একটি গোড়ালি যান্ত্রিক। ফলে জেলে থাকতে তার অসুবিধা হচ্চে শারীরিক কারণে। কিন্তু, প্রভাবশালীর তত্ত্বে জামিন নাকচ হয়ে যায় মার্কিন ওই ধনকুবেরের।
জানা যায়, ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ফ্লোরিডার ম্যানহাটান, নিউইয়র্ক এবং পাম বিচ এলাকায় নিজের বাড়িতে কিশোরীদের ধর্ষণ করেছেন জেফরে এফস্টেইন। সেকান থেকেই হয়েছে নাবালিকা পাচার। এরপর তার বিরুদ্ধে জমা পড়ে অভিযোগ। তারই শুনানি চলছিল নিউইয়র্কের আদালতে। কিভাবে জেলে আত্মহত্যা করলেন জেফরি তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)