কেন্দ্রের তরফে অবিলম্বে এই দুটি "কালা আইন" বিলোপ করতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(ফাইল ছবি)
কলকাতা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পদযাত্রা করল তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা মোর্চা (TMC Women's Wing)। বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট থেকে হাজরা (Anti-CAA Rally) মোড় পর্যন্ত আয়োজিত এই পাঁচকিমি দীর্ঘ পদযাত্রায় পা মেলান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) ও শশী পাঁজা। ওই পদযাত্রায় কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল বিজেপির বিরোধিতা করে যেমন প্ল্যাকার্ড ছিল, তেমন সিএএ ও এনআরসি বিলোপের স্লোগানও ওঠে। সিএএ আর এনআরসি নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত তুঙ্গে। কেন্দ্রের তরফে অবিলম্বে এই দুটি "কালা আইন" বিলোপ করতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-বিরোধী ekadhik র্যালির নেতৃত্ব নিজে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। দেশের ষষ্ঠ রাজ্য হিসেবে সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। পাশাপাশি এনপিআর প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের দাবি, মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারিত করছে বিজেপি। কারণ এনপিআর ((NPR), এনআরসির (NRC) প্রথম ধাপ।
মেদিনীপুরের বর-চিনের কনে! করোনাভাইরাসের কারণে মেয়ের বিয়েতে অনুপস্থিত কনেপক্ষ
এদিকে, ওয়াটগঞ্জে এনপিআর-বিরোধী পথ অবরোধের জেরে আধার নথিভুক্তিকরণ সাময়িক স্থগিত রাখল কলকাতা পুরনিগম। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা আধার তথ্য জোগার করতে ওয়াটগঞ্জে ঘুরছিলেন। সেই গতিবিধি দেখে প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের ধারণা, "এভাবে এলাকায় এসে আধার তথ্য নথিভুক্তিকরণ আদতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ।" ফলে এই আতঙ্কে তাঁরা পথ অবরোধ শুরু করেন। আর এই প্রতিবাদের আঁচে আধার তথ্য নথিভুক্তিকরণ সাময়িক স্থগিত রাখে কলকাতা পুরনিগম বা কর্পোরেশন।
রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা, উসকে দিতে পারে সরকার-রাজ ভবন সংঘাতের আবহ
এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি । তাদের অভিযোগ, "মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।" পুরনিগম তরফে খবর, "বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কের ওই কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখেন ওয়াটগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। আধার নথিভুক্তিতে কোনও তথ্য তাঁরা দেবেন না, এই দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা।" পরে পুলিশ গিয়ে আটকদের উদ্ধার করে। এবং গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। জানা গেছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি, ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে ধৃতদের।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)