Rajasthan Crisis: শচীন পাইলট শিবির স্পিকারের দেওয়া অযোগ্যতার নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেন
হাইলাইটস
- শচীন পাইলট শিবিরে ফের স্বস্তির বাতাস
- আপাতত শচীন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, বলল আদালত
- এর আগে বৃহস্পতিবারও সুপ্রিম কোর্টের রায় শচীনদের পক্ষেই যায়
রাজস্থানের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে দেখে নিন এই ১০ টি তথ্য:
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ডাকা দুটি বৈঠকেই যোগ দেননি শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা। এই ঘটনার পরেই শচীন ও তাঁর দলবলকে অযোগ্য বিধায়ক ঘোষণা করার জন্যে নোটিশ দেন রাজস্থান বিধানসভার অক্ষ্যক্ষ সিপি যোশী। ওই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শচীন পাইলট।
এই নিয়ে তৃতীয়বার হাইকোর্ট বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মত দিয়েছে। কোনও আদালতই তাঁকে এভাবে নির্দেশ দিতে পারে না এই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর যুক্তিতে আমল দেয়নি।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলে। সেখানে শীর্ষ আদালত বলে যে, অধ্যক্ষের আবেদনে যে বিষয়গুলির কথা তোলা হয়েছে তার জন্যে "দীর্ঘ শুনানি" দরকার কারণ এতে গণতন্ত্রের বিষয়ে একটি "বড়সড় প্রশ্ন" জড়িত এবং এটি কীভাবে টিকে থাকবে সেটাও একটা ভাবনার বিষয়। তবে আদালত এও বলে যে উচ্চ আদালতের রায়ের উপর তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
শচীন পাইলটের দলবল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে স্বস্তি পেলেও তার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সাংবাদিকদের সামনে বলেন যে, একটি বিধানসভা অধিবেশন খুব তাড়াতাড়ি ডাকা হবে। তিনি রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। গেহলট রাজ্যপালকে বলেন, "আমাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।"
"আমরা শিগগিরই বিধানসভার একটি অধিবেশন ডাকব। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়করা ঐক্যবদ্ধই রয়েছেন", দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা যদি এই মামলায় জয়ী হন তবে তাঁরা বিধানসভায় ভোট দিতে পারবেন, ফলে গেহলট সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে হবে। তবে তাঁরা যদি মামলায় হেরে যায় তবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট সরকার।
এমনিতেই রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার যেন সুতোর উপর দিয়ে হাঁটছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনুযায়ী ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় প্রয়োজনীয় ১০১ সমর্থনের থেকে মাত্র দুটো সমর্থন বেশি তাঁদের। পাইলটের কাছে আছে ১৯ বিধায়কের সমর্থন এবং বিজেপির কাছে আছে ৭২ জন বিধায়ক।
রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্যে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন শচীন ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা, এমন অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগেই শচীনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাই সতর্ক রয়েছে রাজস্থানের পুলিশ।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে কংগ্রেসের দু'একজন বিধায়ক বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, সেই অডিও ফাঁস করে দেয় তাঁরা।
Post a comment