This Article is From Dec 16, 2019

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হওয়া হিংসাকে ‘‘গভীর বিষণ্ণতার’’ বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী 

বিরোধীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী দেশকে ভুলপথে চালিত করছেন। তারা মানুষকে হিংসা ও হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের চক্রান্তে পা না দিতে আহ্বান জানিয়েছে। 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হওয়া হিংসাকে ‘‘গভীর বিষণ্ণতার’’ বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী 

জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা ও জনজীবন ব্যাহত করার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

নয়াদিল্লি:

রবিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act)প্রতিবাদে হওয়া হিংসাত্মক ঘটনাকে ‘‘গভীর বিষণ্ণতার'' বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা ও জনজীবন ব্যাহত করারও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুইট করে জানান, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হিংসাত্মক ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীর বিষণ্ণতার। বিতর্ক, আলোচনা ও ভিন্নমত গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা ও জনজীবনকে ব্যাহত করাটা আমাদের উদ্দীপনার পরিপন্থী''

তিনি আরও জানান, ভারতের উন্নতি ও প্রত্যেক ভারতীয়র, বিশেষ করে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিকদের ক্ষমতাবান থাকার জন্য সকলের একসঙ্গে কাজ করা দরকার।

তিনি জানান, ‘‘আমরা বিশেষ স্বার্থের দলকে আমাদের বিভক্ত করতে ও অশান্তি করতে দিতে পারি না।''// সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। দু'ক্ষেত্রেই আন্দোলন প্রশমিত করতে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সংঘর্ষে বহু পড়ুয়া আহত হয় এবং প্রভূত সম্পত্তি নষ্ট হয়।

গত সপ্তাহেই রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। এই বিলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগতন অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, এই বিল বৈষম্যমূলক। এবং এটা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্তী।

প্রধানমন্ত্রী রবিবারের হিংসা সম্পর্কে ‘‘ব্যক্তিগত স্বার্থ'' চরিতার্থ করার কথা বলার পর কংগ্রেস ও বাম দলগুলি সহ বিরোধীদের দাবি তিনি দেশকে ভুলপথে চালিত করছেন। তারা মানুষকে হিংসা ও হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের চক্রান্তে পা না দিতে আহ্বান জানিয়েছে। 

.