This Article is From Mar 29, 2020

‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী: ‘‘লকডাউন লঙ্ঘন করার অর্থ নিজের জীবন নিয়ে খেলা’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। এটা দুঃখজনক। সারা বিশ্বেই এমন ভুল করে চলেছেন বহু মানুষ।’’

‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী: ‘‘লকডাউন লঙ্ঘন করার অর্থ নিজের জীবন নিয়ে খেলা’’

রবিবার ‘মন কি বাত’-এ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হাইলাইটস

  • প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। এটা দুঃখজনক।’’
  • তিনি লকডাউনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ক্ষমা চান
  • দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৯৭৯
নয়াদিল্লি:

যাঁরা লকডাউন (Lockdown) মানছেন না তাঁরা নিজেদের জীবন নিয়ে খেলছেন। রবিবারের ‘মন কি বাত'-এ (Mann Ki Baat) এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিন সপ্তাহের সম্পূর্ণ লকডাউন রয়েছে দেশে। লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৯৭৯। নতুন করে সামনে এসেছে ৬১টি ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা সকলকে মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘লোকেরা হয়তো ভাবছেন আমি কেমন ধরনের প্রধানমন্ত্রী... কিন্তু লকডাউন আমাদের সামনে থাকা একমাত্র সমাধান। অনেকেই লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। এটা দুঃখজনক। সারা বিশ্বেই এমন ভুল করে চলেছেন বহু মানুষ।''

লকডাউনের মধ্যে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশ পায়ে হেঁটে পৌঁছতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের

তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা লকডাউন লঙ্ঘন করছেন তাঁরা নিজেদের জীবন নিয়ে খেলছেন।''

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এর ফলে সাধারণ মানুষকে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হত আপনাদের রক্ষা করার জন্য।''
গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই বড় শহরে কাজ করতে আসা ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা প্রবল অসুবিধায় পড়েন। রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের খাদ্যের জোগানেও টান পড়ে। অনেকেই উপায়ান্তর না দেখে হাঁটতে শুরু করে। অনেকেই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের সন্তানকে কাঁধে বসিয়েই পেরোতে থাকেন দীর্ঘ পথ। এতে অনেককেই অসুবিধায় পড়তে হয়।

‘‘সামাজিক দূরত্ব বাড়ান, মানসিক দূরত্ব নয়'': প্রধানমন্ত্রী

দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশে নিজের বাড়িতে পৌঁছতে ২০০ কিলোমিটার হাঁটার পর এক যুবক রাস্তাতেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একজন ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন রণবীর সিংহ নামের ওই যুবক। লকডাউনের ঘোষণার পর চাকরি, আশ্রয় ও অর্থের অভাবের মুখোমুখি যে মানুষরা নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করছিলেন রণবীর ছিলেন তাঁদেরই একজন। পথঘাট শুনশান। অগত্যা পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অনেকেই নিজের গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

রণবীর সিংহও যাত্রা শুরু করেন ৩২৬ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় নিজের বাড়িতে পৌঁছনোর জন্য।

দীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় এসে হাইওয়ের উপরেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এক স্থানীয় দোকানদার তাঁকে চা ও বিস্কুট খেতে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রণবীর। তখনও গ্রাম থেকে তাঁর দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।

এদিকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে সামনে এসেছে ৬১টি ঘটনা।

.