This Article is From Mar 05, 2019

"ওরা মোদীর ওপর এয়ার স্ট্রাইক করতে ব্যস্ত", বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঢুকে যায় পাকিস্তানের আকাশপথে। সেখানে গিয়ে বালাকোটের জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা এয়ার স্ট্রাইক করে।

যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, জঙ্গিদের ছাড়া হবে না। হুঙ্কার মোদীর

আহমেদাবাদ:

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার পর থেকেই আসলে কত জঙ্গি মোট মারা গিয়েছে ওই হানায় তার সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই বিরোধীদের ফের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আহমেদাবাদের একটি জনসভায় গিয়ে বলেন, "ওরা মোদীর ওপর এয়ার স্ট্রাইক করতে ব্যস্ত এবং মোদী ব্যস্ত সন্ত্রাসবাদের ওপর এয়ার স্ট্রাইক করার কাজে"। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঢুকে যায় পাকিস্তানের আকাশপথে। সেখানে গিয়ে বালাকোটের জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা এয়ার স্ট্রাইক করে। কিন্তু, ওই এয়ার স্ট্রাইকে কত জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে, তা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি পেশ করেনি ভারত। অন্যদিকে, গত রবিবার বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেন, ওই হামলায় '২৫০ জন মারা গিয়েছে'। ৩০০ জন মারা গিয়েছে বলেও তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল এয়ার স্ট্রাইক সংক্রান্ত হামলাটির পর।

প্রসঙ্গত, এয়ার স্ট্রাইকের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই চেয়েছেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের মত নেতারা। এয়ার স্ট্রাইকে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার 'অধিকার' আছে দেশের মানুষের। বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই একই কথার পুনরাবৃত্তি করে শিবসেনাও। বিজেপির এই শরিক সাফ জানায়, এয়ার স্ট্রাইকের ব্যাপারে সব তথ্য জানার অধিকার রয়েছে দেশের মানুষের।

তিনি ভোটবাক্সে 'ফায়দা' পেতে এয়ার স্ট্রাইক করেছে, বিরোধীদের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, "গত ৪০ বছর ধরে আমাদের দেশ এই সন্ত্রাসবাদের হানায় বহুবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমি ক্ষমতার তোয়াক্কা করি না। আমার কাছে দেশের নিরাপত্তাই সবার আগে"।

.