Smart India Hackathon 2019' অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি
হাইলাইটস
- Smart India Hackathon অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় মোদি
- ডিসলেক্সিক শিশুদের জন্য বিশেষ অ্যাপ বানানোর কথা জানান এক ছাত্রী
- রাহুল গান্ধী ও ডিসলেক্সিয়াকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন মোদি
নিউ দিল্লি: এই দেশেই বছর খানেক আগের একটি সিনেমা বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। পড়তে আর লিখতে, বা আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক বয়সে যাঁদের বুদ্ধির বিকাশের সমস্যা হয় সেই বিশেষ শিশুদের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতার চারাগাছকে কীভাবে বড় গাছ করে তোলা যায় তা মনে রয়েছে সকলেরই। হয়তো, মনে রেখেও রাখতে চান নি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। ডিসলেক্সিয়ার সমস্যায় আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের নিয়ে অংসবেদনশীল মন্তব্য করা নিয়ে তাই ব্যাপক সমালোচনার মুখে দেশের প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করেই ডিসলেক্সিয়া রোগ নিয়ে মোদির একটি অদ্ভুত অসৌজন্যমূলক কথোপকথনের ভিডিও ক্লিপ রবিবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। নারী ও শিশু সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্য প্রযুক্তি চালিত সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ‘রসিকতা' করেছেন দেশপ্রধান।
গোঁফ দিয়ে যায় চেনা! অভিনন্দনের মতো গোঁফ পেতে ভিড় বাড়ছে শহুরে সেলুনে
শনিবার রাতে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন 2019' (Smart India Hackathon 2019)-এর ভিডিও কনফারেন্সের সময় দেহরাদুনের এক ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে একটি কর্মসূচির বিষয়ে বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। ওই কর্মসূচীতে পড়ার এবং লেখার সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ডিসলেক্সিক শিশুদের সাহায্য করার পরিকল্পনা ছিল। ওই পড়ুয়া বলেন, “ডিসলেক্সিক শিশুদের (dyslexic children) সাহায্য করার জন্য আমাদের একটি চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এই ধরণের বাচ্চাদের শেখার গতি এবং লেখার গতি খুব ধীর। কিন্তু আপনি তো জানেনই ‘তারে জমিন পর' চলচ্চিত্রে সবাই দেখেছি এই শিশুদের উচ্চ বুদ্ধিমত্তা এবং সৃজনশীলতার বিস্তৃত স্তর রয়েছে...”
কথা ফুরোয় না ওই ছাত্রীর। তবুও তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যঙ্গ করে পালটা প্রশ্ন করেন, “এই প্রোগ্রামটি কি ৪০-৫০ বছরের বাচ্চার জন্যও কাজ করবে নাকি?” প্রশ্ন শুনেই হেসে গড়িয়ে পড়েন উপস্থিত পড়ুয়াদের একাংশ, হাততালির ফোয়ারা ওঠে। হাসিতে ভরে ওঠে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখও। তবে এর মাঝেও অনেক শিক্ষার্থীর সমর্থন পেয়ে ওই পড়ুয়া মাইক্রোফোনে জবাব দেন, “হ্যাঁ স্যার, এটা কাজ করবে।” কিন্তু মোদির রসিকতা তখনও শেষ হয়নি। বিশেষ এই সমস্ত শিশুর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আরও এক রাউন্ড হাসির ছররা তুলতে তিনি বলেন, “তাহলে তো এই ধরনের শিশুদের মায়েরা দেখছি খুবই খুশি হবেন!” স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই অসংবেদনশীলতার কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলের সদস্যরা। থেমে নেই সোশ্যাল মিডিয়ার আম আদমিরাও।
বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দনের জন্য ভিডিও তৈরি করল আমুল
বিজেপি নেতারা প্রায়শই কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন, প্রায়ই তাঁকে অপরিণত বা পরে বুদ্ধির বিকাশ হওয়া মানুষের সঙ্গে তুলনা করেন। গত বছর সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল গান্ধী জড়িয়ে ধরার পরে কংগ্রেস প্রধানকে ‘বাচ্চা' বলে অভিহিত করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের গোয়ার শাখা ডিসলেক্সিক শিশুদের বিষয়ে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, জাতিসংঘ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।