ট্যুইটারে(Twitter) হাসির হুল্লোড়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan Aide)সহকারী নঈম উল হকের ভুলে দিনভর মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ছুটল হাসির ফোয়ারা। আজ পাক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ট্যুইটারে একটি ছবি শেয়ার করে নিচে ক্যাপশান দেন “পিএম ইমরান খান ১৯৬৯”।এই পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল কিন্তু ওই যাকে বলে গোড়ায় গলদ। ইমরান খানের (Imran Khan) ছবি বলে তিনি যে ছবি পোস্ট করে বসলেন তা হল ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ছবি।
নঈম উল হকের এই পোস্টটি অত্যন্ত দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই মাইক্রো ব্লগিং সাইট জুড়ে দিনভর পাক প্রধানমন্ত্রীর (PM of Pakistan) সহকারীর ভুলকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা, কেউ কেউ আবার গুপ্তধনের ছবি দিয়েও কটাক্ষ করেন তাঁকে। একজন ট্যুইটারে(Twitter) হায়দরাবাদের আইনজীবী আসাউদ্দিন ওয়াইসির ছবি দিয়ে ব্যঙ্গ করে লেখেন ওই ছবিটা হল পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঈদ আনোয়ার।
অন্য আরেকজন আগে ভাইরাল হওয়া একজন হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট অনুরাগীর ছবি দিয়ে ক্যাপশন দেন এই বলে যে ইনি হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হারশেল গিবস।
বলিউড সেলিব্রিটি সলমন খানের ছবি দিয়ে তাঁকে পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার বলেও দাবি করা হয় একটি পোস্টে(Twitter)
আরেকজন জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ “তারক মেহতা কা উল্টা চশমা”-র মুখ্য চরিত্র জেঠালাল গাড়ার ছবি দিয়ে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অধিনায়ক “স্টিভ স্মিথ” বলে দাবি করেন।
আরেকটি পোস্টে তো আরও চমক! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM modi) একটি পুরনো ছবি দিয়ে তার তলায় লেখা হয়েছে ঐ ছবিটি নাকি অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের।
কেউ আবার বলিউডি ছবি ‘লগান'-এ আমির খান অভিনীত চরিত্রটির ছবি দিয়ে সেটি ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির ছবি বলে দাবি করেছেন।
দিনভর পাক প্রধানমন্ত্রীর(PM of Pakistan) সহকারীর ওই ভুল ছবি দেওয়া পোস্টটি ৭০০ বার রিট্যুইট করা হয়েছে এবং ৭ হাজারের কাছাকাছি মানুষ সেটি লাইক করেছেন।
ইমরান খান(Imran Khan), একসময় যিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব সামলেছেন, যাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান, সেই তাঁকে ঘিরেই আজ দিনভর সরগরম থাকে ট্যুইটার।
ইমরান খানও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (PM of Pakistan) হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবারই বেশ কিছু হঠকারী পোস্ট করার জন্যে সমালোচিত হয়েছেন।কিছুদিন আগেই ট্যুইটারে একটি উত্সাহব্যঞ্জক উদ্ধৃতি পোস্ট করে তা লেবাননের লেখক তথা কবি কাহলিল গিবরানের লেখা বলে দাবি করেন,যা আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, এই ঘটনা নিয়েও ট্যুইটার জুড়ে কটাক্ষ হয়।
এছাড়াও চলতি মাসেরই প্রথম দিকে একটি ইসলামিক সম্মেলন চলাকালীন সৌদির রাজা সালমান বিন আবদুলাজিজের বক্তব্য রাখাকালীন তাঁর দোভাষীর সঙ্গে কথা বলে সৌদির রাজার বক্তব্য শেষের আগেই ওই স্থান ছেড়ে চলে যান।এই ঘটনায় সৌদি আরবের রাজাকে অসম্মান করা হয়েছে বলে তীব্র সমালোচিত হন ইমরান খান(Imran Khan)।