শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে ইমরান খানকে।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) এদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে। নয়াদিল্লিতে এই সম্মেলন আয়োজিত হবে বলে বৃহস্পতিবার জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার জানিয়েছে, এসসিও-র ৮ দেশ ও ৪ পর্যবেক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হবে।'' বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বৃহস্পতিবার বিকেলে জানালেন, ‘‘ভারত এবছর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। আটটি দেশ ও চারটি পর্যবেক্ষকের প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।'' প্রসঙ্গত, এসসিইও হল চিনের নেতৃত্বে আট সদস্যের এক অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্লক। ভারত ও পাকিস্তান ২০১৭ সালে এসসিও-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে চিন, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রস কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
‘‘নিন্দনীয়'': চিনের সাহায্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু তোলার পাক প্রচেষ্টার নিন্দা সরকারের
গত জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে হওয়া সম্মেলনে যোগ দেন গত জুনে। সেখানেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশ সন্ত্রাসকে মদত দেয় ও সমর্থন করে তাদের সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করতে হবে।
সন্ত্রাসবাদ দমনে এসসিও-র সব সদস্যকে একসঙ্গে এগোতে হবে, একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়ার জন্য বিশ্ব সম্মেলনের ডাক দিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতিহত বড় জঙ্গি হানা, জানাল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ
ভারত একথা জানানোর আগে এদিনই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিনের সাহায্যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু তোলার জন্য পাকিস্তানের নিন্দা করে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। এই নিয়ে তৃতীয় বার জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার করতে চাইল চিন। কিন্তু সেখানে অন্য দেশগুলি জানিয়ে দিয়েছে, এটা সেই আলোচনার মঞ্চ নয়।