২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত (goodwill ambassador of UNICEF) হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিযুক্ত হন।
হাইলাইটস
- প্রিয়াঙ্কা ২৬ ফেব্রুয়ারি টুইট করেন, “জয় হিন্দ #ইন্ডিয়ান আর্মডফোর্স
- ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের পদ থেকে তাঁকে সরাতে পাকিস্তানের পিটিশন
- বালাকোটে পাক সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংসের পর টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা
নিউ দিল্লি: পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের শিবির ধ্বংস করার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করার পরেই ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূতের পদ (goodwill ambassador of UNICEF) থেকে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে (Priyanka Chopra) অপসারণের জন্য অনলাইন পিটিশন শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহেই ভারতীয় বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রণে রেখায় যে দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকটি করে, যাতে জইশ-ই-মোহাম্মদের একটি শিবির নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত, তাতে বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানান এই অভিনেত্রী। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি টুইট করেন, “জয় হিন্দ #ইন্ডিয়ান আর্মডফোর্স!”
গোঁফ দিয়ে যায় চেনা! অভিনন্দনের মতো গোঁফ পেতে ভিড় বাড়ছে শহুরে সেলুনে
অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ‘আওয়াজে'র (Avaaz) মাধ্যমে তাঁকে ওই বিশেষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তাঁর এই ঘটনায় ‘নিরপেক্ষ' অবস্থান নেওয়ার কথা যা তিনি করেননি।
ওই পিটিশনে লেখা হয়েছে, “দুই পারমাণবিক শক্তির মধ্যে যুদ্ধ শুধুমাত্র ধ্বংস ও মৃত্যুই নিয়ে আসতে পারে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত (goodwill ambassador of UNICEF) হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার উচিৎ ছিল এই অবস্থায় নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেওয়ার। তাঁর আর ওই ‘শুভেচ্ছাদূতে'র পদে থাকার যোগ্যতা নেই।”
মানুষ মারতে নয়, পাকিস্তানকে ভয় দেখাতেই এয়ার স্ট্রাইক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
জাতিসংঘ এবং ইউনিসেফকে ট্যাগ করা এই পিটিশনটি ৫০০০ এর মধ্যে ৪২০০-রও বেশি স্বাক্ষর পেয়েছে। ইউনিসেফ যদিও এতে মন্তব্য করেনি বলেই জানিয়েছে tmz.com। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত (goodwill ambassador of UNICEF) হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিযুক্ত হন। তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউনিসেফের সাথে যুক্ত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী দলের জইশ-ই-মোহাম্মদের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান হামলা করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় সিআরপিএফের ৪০ জনেরও বেশি ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পরই এই পালটা আক্রমণ হয়।