This Article is From Jun 13, 2020

চলছিল সেচ দফতরের কাজ; তার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহুতল

এই দুর্ঘটনার পর ধসে পড়া বাড়ির মালিক নিমাই সামন্ত বলেছেন, "এই ঘটনায় আর্থিক ভাবে আমার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তবে একটু আশ্বস্ত প্রাণহানির কোনও খবর নেই।"

চলছিল সেচ দফতরের কাজ; তার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহুতল

সেচ দফতরের উদ্যোগে খালে সংস্কার কাজ চলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাইলাইটস

  • সেচ দফতরের কাজ চলাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহুতল
  • আগে থেকেই বাড়িতে ফাটল থাকায় সরানো হয়েছিল আবাসিকদের। নেই কোনও প্রাণহানি
  • বৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে এই দুর্ঘটনা। এমনটাই স্থানীয়দের দাবি
কলকাতা:

এ যেন হলিউডের কোনও ছবি! চোখের সামনে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো একটা আস্ত বহুতল। গোটা নির্মাণ ধসে পড়তেই আশপাশ ভরে গেল ধুলো আর বাড়িতে। হলিউডের ছবিতে এমন দৃশ্য দেখাই যায়। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি শনিবার সেই দৃশ্য তারাও চাক্ষুষ করবে। জানা গিয়েছে, দাসপুরের নিশ্চিন্তপুরে সেচ দফতরের (Irrigation work) কাজ চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তিন তলা বাড়ি। যেহেতু একসপ্তাহ আগে থেকেই সেই বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল, তাই আবাসিকদের সরানো হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। ফলে এদিনের ঘটনার পর হতাহতের কোনও খবর নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, "প্রস্তুতি ছাড়াই বাড়ি সংলগ্ন খালে সেচ দফতর খাল সংস্কারের কাজ করছিল। সঙ্গে একটানা বৃষ্টি সবমিলিয়ে এই দুর্ঘটনা।"

স্থানীয় সেই দুর্ঘটনার ভিডিও সোশাল মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ৩০ সেকেন্ডের যে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে শনিবার সকালে ভেঙে পড়ছে সেই বহুতল বাড়ি।

এই দুর্ঘটনার পর ধসে পড়া বাড়ির মালিক নিমাই সামন্ত বলেছেন, "এই ঘটনায় আর্থিক ভাবে আমার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তবে একটু আশ্বস্ত প্রাণহানির কোনও খবর নেই।" বৃহস্পতিবার থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির কবলে দক্ষিণবঙ্গ।

.