হুমকি পাওয়া এখন রোজকারের ব্যাপার হয়ে গিয়েছে, বললেন মেহরুন্নিসা খান
ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক মুসলমান মহিলাকে গোয়ালঘর চালানোর জন্য আক্রমণের শিকার হতে হল। পরেরবার আক্রমণকারীরা তাঁর মুখে অ্যাসিড মারতে পারে বলে ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন ওই মহিলা। “ওরা একদম তৈরি হয়েই এসেছিল। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। আমকে অপহরণ করারও চেষ্টা করেছিল। কিছুই করার ছিল না আমর। ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলাম”, বলেন তিনি। মেহরুন্নিসা খান নামের ওই মহিলা মধ্যপ্রদেশের জাতীয় গরু পরিষেবা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। শুধুমাত্র বহিরাগতরাই যে তাকে হুমকি দিচ্ছে এমনটা নয়। নিজের ঘরের লোকদের হুমকির থেকেও ছাড় পাননি তিনি। তাঁর শশুররবাড়ির লোকরা তাঁকে মারধোর করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গরুদের সুরক্ষার জন্য কাজ করারই ফল এটি, বলে দাবি করেন মেহরুন্নিসা। তাঁর বাবা-মা এবং কন্যা, কেউই তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“ওরা (আক্রমণকারীরা) আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দিচ্ছে। অনেকগুলো কাটা মাথার ছবি পাঠিয়ে আমাকে বলছে, এর মধ্যে কোনও একটা মাথা আমার নিজেরও হতে পারে। হয় আমাকে মেরে ফেলুন নয় বাঁচান”, অসহায়ভাবে বলতে থাকেন মেহরুন্নিসা খান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের কাছেও তিনি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন।
“আমাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রচন্ড মারধোর এবং হেনস্তা করে। তার কারণ দুটো। প্রথমত, আমি গরুদের সুরক্ষার ব্যাপারে কথা বলেছি ও তা নিয়ে কাজ করি। দ্বিতীয়ত, আমি তিন তালাকের বিরুদ্ধেও প্রবলভাবে সরব ছিলাম। চার মাস হয়ে গেল আমি শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছি পুলিশের কাছে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, পুলিশ এতদিনেও কিছুই করেনি। একফোঁটাও সাহায্য পায়নি পুলিশের কাছ থেকে। পুলিশ আমাকে বলছে যে, এটি আপনার ‘পরিবারের ব্যাপার’। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করছি। আমাকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করছি”, সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন মধ্যপ্রদেশের জাতীয় গরু পরিষেবা সংগঠনেরর রাজ্য সভাপতি মেহরুন্নিসা খান।