This Article is From May 27, 2019

জঙ্গিহত্যাকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভ আটকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায়

কাশ্মীরের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি জাকির মুসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভের আশঙ্কায় কাশ্মীরের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

জঙ্গিহত্যাকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভ আটকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায়

কাশ্মীরের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি জাকির মুসার মৃত্যু হয় গত শুক্রবার

নয়াদিল্লি:

আবার অশান্ত হতে পারে কাশ্মীর। আল কায়দার শাখা সংগঠনের মুখ্য কাশ্মীরের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি জাকির মুসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভের আশঙ্কায় সোমবার কাশ্মীরের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।

আত্মঘাতী মুম্বইয়ের তরুণী চিকিৎসক, নেপথ্যে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য

গত সপ্তাহে পুলওয়ামা জেলায় এক এনকাউন্টারে মারা যায় জাকির। বহু স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু থাকলেও আগাম সতর্কতা বজায় রাখতে শ্রীনগর, বদগাঁও ও কুপওয়াড়া জেলার সমস্ত হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও ডিগ্রি কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বারামুলা জেলার বারামুলা টাউন, সোপোর ও পাট্টান এবং গান্দেরবাল জেলার কিছু কলেজ ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। একই ঘটনা বান্দিপোরা জেলাতেও। সেখানকার চারটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল (বান্দিপোরায় দু'টি, সিম্বল ও হাজিন অঞ্চলের একটি ) ও ডিগ্রি কলেজগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। অনন্তনাগ জেলায় অনন্তনাগ ও বিজবেহারা অঞ্চলে ডিগ্রি কলেজ ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল বন্ধের পড়াশোনা বন্ধ রাখা হয়েছে। একই ছবি কুলগামেও। সেখানেও সমস্ত ডিগ্রি কলেজ ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল নেহামার পঠনপাঠন বন্ধ। দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামা জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ররাখা হয়েছে। অবন্তিপোরার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউএসটি) সমস্ত ক্লাসও বন্ধ। 

প্রথম ১০'এ ১৩৭ কৃতী! উচ্চমাধ্যমিকে জোড়া প্রথম জেলার শোভন মন্ডল ও রাজর্ষি বর্মন

আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান মুসাকে ধরতে ফাঁদ পেতেছিল সুরক্ষা বাহিনী। ‘কর্ডন অ্যান্ড সার্চ' পদ্ধতিতে ট্রাল এলাকার একটি গ্রামে অপারেশন চালানো হয়। শুক্রবার সেখানে এনকাউন্টার চালিয়ে মারা হয় মুসাকে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাশ্মীরের স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারা পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।

২৫ বছরের মুসা ছিল একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রপ আউট। ২০১৩ সালে সে জঙ্গি দলে নাম লেখায়। তবে ২০১৬ সালে বুরহানের মৃত্যুর পরে মুসা সামনের সারিতে চলে আসে। তার নাম বেশি করে আলোচনায় উঠে আসা শুরু হয়। হিজবুল ছেড়ে এসে সে আল কায়দা সম্পর্কিত ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

.