This Article is From Sep 05, 2019

বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ২৩, আহত বহু

বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানাটি সম্পূর্ণ ধংস হয়ে যায় এবং আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়

বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানাটি সম্পূর্ণ ধংস হয়ে যায় (পিটিআই)

হাইলাইটস

  • পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়
  • কারখানাটি সম্পূর্ণ ধংস হয়ে যায় এবং আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়
  • উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর
গুরদাসপুর/ পাঞ্জাব:

পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ২৩, আহত ২৭। ধংস্তুপের বহু মানুষের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, গভীর রাত পর্যন্ত ওই বাজি কারখানায় উদ্ধারকাজ চলে। আইজি(বর্ডার রেঞ্জ) এসপিএস পারমের জানিয়েছেন, গুরুদাসপুরের বাটালা এলাকায় বিকেল ৪ টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে।  বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানাটি সম্পূর্ণ ধংস হয়ে যায় এবং আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর  কাঁচের জানালা ভেঙে পড়ে, এবং একজোড়া বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী পিটিআইকে জানান, বিস্ফোরণে ফলে একটি গাড়ি নর্দমায় পড়ে যায়। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাটালার বাসিন্দা রাজপাল খোক্কার বলেন, “যখন আমি বিস্ফোণের তীব্র শুনি, আমি পড়ে যাই। যখন আমার জ্ঞান আসে, আমি দেখি হাসপাতালে রয়েছি”।

আরেক ব্যক্তি শুকদেব সিং পিটিআইকে জানান, তাঁর সঙ্গে আর যে দুজন বাজি কিনতে গিয়েছিলেন, তাঁরা মারা গিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েকবছর ধরেই অবৈধভাবে চলছিল বাজি কারখানাটি। সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকদেবের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘নগরকীর্তন' নামে যে ধর্মীয় মিছিল বের হওয়ার কথা, তার জন্য বাজি তৈরি এবং মজুত করা হচ্ছিল কারখানাটিতে।

এক স্থানীয়বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বেশ কয়েকবছর ধরেই ওই এলাকায় চলছিল বাজি কারখানাটি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা সাত থেকে আটবার এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি”। তিনি জানান, ২০১৭-এর জানুয়ারিতে একইরকম বিস্ফোরণ হয়, সেবার একজনের মৃত্যু হয় এবং তিনজন আহত হন।

মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, সেখানে নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা কালেক্টর এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “বাটালার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে জীবনহানির ঘটনার খবরে গভীর শোকাহত। ডিসি এবং এসএসপির নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চলছে”।

বিস্ফোরণের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনাট শোকপ্রকাশ করেছেন গুরুদাসপুরের সাংসদ সানি দেওল। তিনি ট্যুইটে লেখেন, “বাটালার কারখানায় বিস্ফোরণের খবরে দুঃখিত। দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য ছুটে যান জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা”।

উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ঘটনাস্থলে যান সিনিয়র পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

(তথ্য সহায়তা: পিটিআই ও এএনআই)

.