This Article is From Apr 04, 2019

‘মোদীজির সেনা’ মন্তব্যের জন্য যোগীকে নোটিশ পাঠাল কমিশন

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) আগে  নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নোটিশ পেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (CM Of UP ) যোগী আদিত্যনাথ।

‘মোদীজির সেনা’ মন্তব্যের জন্য যোগীকে নোটিশ পাঠাল কমিশন

Lok Sabha Election 2019: বিরোধীদের পাশাপাশি সরব হন প্রাক্তন সেনা  কর্তারাও

হাইলাইটস

  • ‘মোদীজির সেনা’ মন্তব্যের জন্য যোগীকে নোটিশ পাঠাল কমিশন
  • যোগী দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে মোদীজি কি সেনা বলে অভিহিত করেন
  • জানা গিয়েছে শুক্রবারের মধ্যে যোগীকে উত্তর দিতে হবে
নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) আগে  নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নোটিশ পেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (CM Of UP ) যোগী আদিত্যনাথ। কয়েক দিন আগে গাজিয়াবাদের নির্বাচনী সভায় গিয়ে যোগী দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে (Arm Forces)  মোদীজি কি সেনা বলে অভিহিত করেন। এই ঘটনায় যোগীর ব্যাখ্যা চাইল কমিশন। জানা গিয়েছে শুক্রবারের মধ্যে যোগীকে উত্তর দিতে হবে। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। গাজিয়াবাদের সভা থেকে যোগী বলেন, ‘কংগ্রেসের লোকেরা জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত। আর মোদীজির সেনা  সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে শুধু গুলি খরচ করে। এটাই ফারাক। কংগ্রেসের লোকজন মাসুদ আজাহারকে সম্বোধন করে ‘জি'শব্দ ব্যবহার করেন আর ঘরে ঢুকে আক্রমণ করে জঙ্গিদের দুর্বল করে দিচ্ছে  বিজেপির সরকার। যেটা কংগ্রেসের কাছে অসম্ভব ছিল, মোদীজি সেটাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন।'

মমতাকে ‘স্পিড ব্রেকার দিদি' বলে কটাক্ষ করলেন মোদী, যা বলার সভায় বলব: মুখ্যমন্ত্রী

সেনাদের উদ্দেশে এমন শব্দ ব্যবহার করার প্রতিবাদ করেছেন মমতা।তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যে শব্দ ব্যবহার করেছেন সেটা ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে অবমাননাকর। কংগ্রেসের তরফে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, যোগীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করার নামান্তর। সশস্ত্র বাহনী ভারতের বিষয়,কোনও দলের ব্যক্তিগত নয়। আদিত্যনাথের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

বিরোধীদের পাশাপাশি সরব হন প্রাক্তন সেনা  কর্তারাও। প্রাক্তন নৌ প্রধান অ্যাডমিরাল এল রামদাস নির্বাচন কমিশনে চিঠি লেখেন। এ ধরনের মন্তব্য যেন কেউ  না করেন তা নিশ্চিত করার দাবি জানান রামদাস। সংবাদ সংস্থা  পিটিআইকে প্রাক্তন নৌ প্রধান বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী কারও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। তার কাজ দেশকে  সুরক্ষিত রাখা। আরেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা  কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাং বলেন এ ধরনের কথা  বলার অর্থ সেনাকে রাজনৈতিক পরিসরে টেনে আনা। 

কাশ্মীরে জঙ্গি হানা, ভারতীয় বায়ু সেনার প্রতিশোধ এবং শেষমেশ পাকিস্তানের স্ট্রাইক- লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিনটি ঘটনা অন্য সমস্ত  কিছুকে ছাপিয়ে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে পাক হানার সময় পাকিস্তানের সেনাদের হাতে  বন্দি হন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। আটক করলেও আন্তর্জাতিক চাপে  তাঁকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান।এই ঘটনাটিকে প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব হিসেবে  তুলে ধরার চেষ্টা হয়। এসব যাতে বন্ধ হয় তার জন্যই কমিশনের তরফ থেকে বলা হয় নির্বাচনের কাজে সেনা বাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে আনা যাবে না। সেই ‘কাজ করেছেন' বলেই নোটিশ পেয়েছেন যোগী।

.