This Article is From Apr 26, 2020

লকডাউনেই এক হল চারহাত! পুলিশের সহায়তায় অভিনব বিয়ের আসর

NDTV EXCLUSIVE : লকডাউনের নিয়ম মেনেই গোটা বিয়েতে হাজির ছিল মাত্র ৬ জন। নববধূ পূজা জানাচ্ছেন, যা হয়েছে ভালই হয়েছে। এমন অভিনব ভাবে বিয়ে হল তাঁদের।

লকডাউনেই এক হল চারহাত! পুলিশের সহায়তায় অভিনব বিয়ের আসর

লকডাউনেই বিয়ে করলেন খুশাল ওয়ালিয়া ও পূজা ওয়ালিয়া।

নয়াদিল্লি:

লকডাউনে (Lockdown) স্তব্ধ গোটা দেশের জনজীবন। এরই মধ্যে দিল্লির (Delhi) এক পরিবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে জানাল, তাদের ছেলের বিয়ে (Marriage) দিতে চায় তারা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। অবশেষে সম্পন্ন হল সেই বিয়ে। লকডাউনের নিয়ম মেনেই গোটা বিয়েতে হাজির ছিল মাত্র ৬ জন। খুশাল ওয়ালিয়া ও পূজা ওয়ালিয়া লকডাউনের মধ্যেই তাঁদের জীবনকে ‘লক' করলেন। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লি পুলিশ সহায়তা না করলে এমনটা সম্ভব হত না। লকডাউনের মধ্যে দিল্লির গোবিন্দপুরী অঞ্চলের বাসিন্দা নরেশ ওয়ালিয়া তাঁর বন্ধু নিশিকান্তর সাহায্য চান। তাঁকে বলেন, তাঁর ছেলের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে ২৫ এপ্রিল। ছেলে বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু লকডাউনের সময় বিয়ে করতে বাইরে বেরনো সম্ভব হবে কী করে।

নরেশ জানাচ্ছেন, বিয়ে ঠিক হয় চার মাস আগে। কার্ড ছাপাও হয়ে গিয়েছিল। পরে কার্ড বিলিও সম্পূর্ণ হয়। এবার দুই পরিবারই বিয়ে সম্পন্ন করতে চায় নির্দিষ্ট দিনেই।

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নিশিকান্ত। তিনি তাঁর পরিচিত কালকাজি থানার হেড কনস্টেবল সঞ্জীব ভোহর ও অনিলকে ফোন করেন। এরপর পুলিশি সহায়তায় গ্রেটার কৈলাস আর্য সমাজ মন্দিরে সম্পন্ন হয় বিয়ে। বর-কনে ছাড়া কেবল তাঁদের বাবা-মা'রাই হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে।

খুশাল ওয়ালিয়া জানাচ্ছেন, বাকিদের দেখে তাঁদেরও মনে হত, তাঁদের বিয়েতেও এমনই জাঁকজমক হবে। ‘ব্যান্ড-বাজা-বারাত'-এর উপস্থিতিতে জমে উঠবে বিয়েবাড়ি। কিন্তু করোনা এসে সব ভেস্তে দিয়েছে। তাই এইভাবেই বিয়ে করতে হল তাঁদের।

নববধূ পূজা জানাচ্ছেন, যা হয়েছে ভালই হয়েছে। এমন অভিনব ভাবে বিয়ে হল তাঁদের।

বিয়ের সময় সত্যিকারের ফুলের মালা পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থাকায় বর-কনের প্লাস্টিকের মালা পরেই বিয়ে করতে হাজির হন। বিয়েতে হেড কনস্টেবল সঞ্জীব পূজাকে একটি ওড়না ও নারকেল উপহার দেন। এদিকে নবদম্পতি সঞ্জীব ও অনিলকে উপহার দেন স্যানিটাইজার ও মাস্ক। বিয়ের পর পুলিশ বর-কনেকে পুলিশের গাড়িতেই তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

কালকাজির এসএইচও সন্দীপ ঘাই জানাচ্ছেন, যেহেতু এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে তাই সব দিক খেয়াল রাখা হয়েছিল। বর-কনের বাবা ও মা ছাড়া আর কেউ বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না।rm92nfe8

বিয়ের আসরে ছ'জনের বেশি লোক না থাকলেও বাড়ি পৌঁছে অভিনব অভিজ্ঞতা হয় নবদম্পতির। আশপাশের বাড়ির ছাত, গলি ও ব্যালকনি থেকে সকলে অভিনন্দন জানান তাঁদের। কাজেই ব্যান্ড পার্টি না থাকুক, বরযাত্রী না আসুক, এই বিয়ে স্মরণীয় এক মুহূর্ত তৈরি করল নতুন জীবনে পা রাখা খুশাল ওয়ালিয়া ও পূজা ওয়ালিয়ার জীবনে। 

.