রাজ্যের প্যারা-টিচারদের পাশে দাঁড়াল বিরোধী দল বামফ্রন্ট (Left Front) ও কংগ্রেস। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় প্যারা-টিচারদের উপর পুলিশি হামলার অভিযোগের কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে আলোচনার দাবি তোলেন কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের বিধায়করা । কিন্তু তাঁদের দাবিতে কর্ণপাত করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। এরই প্রতিবাদে একযোগে বিধানসভার অধিবেশন (West Bengal Assembly) থেকে ওয়াক আউট করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। ওয়াকআউটের সময় সরকারবিরোধী স্লোগানও দেন তাঁরা। বিধানসভায় বামফ্রন্টের নেতা সুজন চক্রবর্তী প্যারা টিচারদের উপর পুলিশি হেনস্থার বিষয়টি উত্থাপন করে তা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। কিন্তু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বামেরা, তাঁদের সঙ্গী হন কংগ্রেস বিধায়করাও। বিধানসভা ভবন চত্ত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন বিরোধী দলের বিধায়করা।
রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি
"বেশ কয়েকটি ইস্যু থাকলেও রাজ্য সরকার বিরোধী দলগুলিকে সেই ইস্যুগুলি উত্থাপন বা আলোচনার অনুমতি দেয় না। পুলিশ যেভাবে প্যারা-টিচারদের মারধর করেছিল তা কেবল অগণতান্ত্রিকই নয়, এটা অমানবিকও। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি," সাংবাদিকদের বলেন সুজন চক্রবর্তী।
লক্ষ্য বিধানসভা, বিজেপির মনোযোগে এখন ‘অপারেশন বেঙ্গল'
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস বিধায়করা অবশ্য বিধানসভার দ্বিতীয় অধিবেশনে যোগ দেন ।
গত ১৭ অগস্ট নদিয়ার কল্যাণীতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশনে বসা প্যারা-টিচারদের পুলিশি হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে ২০ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লেখেন রাজ্যের দশজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সরকারকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর সমাধান করার আহ্বান জানান তাঁরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)