This Article is From Jan 20, 2020

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে CAA-NRC'র বিরোধিতায় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের প্রতিবাদ

সিএএ-এনআরসি'র বিরোধিতায় (Anti CAA-NRC) সরব হয়েছেন বামপন্থী পড়ুয়ারা। 'ফ্যাসিজম মানছি না', 'সিএএ -এনআরসি মানবো না।' এমন স্লোগান তুলে প্রতিবাদে সরব হন পড়ুয়ারা।

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে CAA-NRC'র বিরোধিতায় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যেই প্রতিবাদে সরব প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। (ফাইল)

কলকাতা:

বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যেই প্রতিবাদে সরব প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। সোমবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ডিরোজিও হলে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যেই সিএএ-এনআরসি'র বিরোধিতায় (Anti CAA-NRC) সরব হয়েছেন বামপন্থী পড়ুয়ারা। 'ফ্যাসিজম মানছি না', 'সিএএ -এনআরসি মানবো না।' এমন স্লোগান তুলে প্রতিবাদে সরব হন পড়ুয়ারা। প্রায় শতাধিক পড়ুয়াকে ওই হলের সামনে সিএএ-এনআরসি-বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন এসএফআই (SFI) ছাত্র নেতা শুভজিৎ সরকার। এই দু'টি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বার্তা লিখে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। সেই বার্তাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটা বিশাল সাদা বোর্ডে টাঙানো। শিঞ্জিনী মৈত্র নামে এক নেত্রী বলেন, "সিএএ- এনআরসি বিদ্বেষমূলক ও বিভাজনকারী। তাই এই কালো আইন এদেশে প্রণয়ন করতে দেব না।" নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী আর প্রাক্তন আমলা প্রসাদরঞ্জন রায় প্রাক্তনী হিসাবে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদেরও সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। সাদা বোর্ডে প্রতিবাদ লিখতে দেখা গিয়েছে।            

সরকারের কাছে নতুন সতর্কবার্তা: NRC -র ভয় হিন্দুদেরকেও তাড়া করবে

এই বিষয়ে নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী বলেন, "সিএএ আর প্রস্তাবিত এনআরসি'র বিরোধিতা করে আমরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলাম। সরকার মানুষের মনে বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি না করে এই দুটি আইন বলবৎ করতে চাইছে। মনে হচ্ছে সেই দেশভাগের সময়ে ফিরে গিয়েছি।" নাট্যকর্মী ও বিদ্বজ্জনদের  এই প্রতিবাদ সভাকে কটাক্ষ করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 'শয়তান' ও 'পরজীবী' বলে ওই বিদ্বজ্জনদের আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি, 'কাগজ আমি দেখাবো না'- এনআরসি- সিএএ'র প্রতিবাদ করে তৈরি এই ভিডিওকে কটাক্ষ করেছিলেন ওই বিজেপি সাংসদ। "আদতে যাঁদের 'মা-বাবা' কে জানা নেই, তারাই বলছে কাগজ দেখাবো না।" গত সপ্তাহের এক জনসভা থেকে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে যাদবপুর আর বিশ্বভারতী  বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই আইন নিয়ে প্রতিবাদে সরব। 

CAA: নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচার চালানো বিজেপি নেতাকে মহিলার চড়, লাঠিচার্জে ঘায়েল আরও ২

পাশাপাশি চলছে বিজেপি বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ। এদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর-পূর্ব আর বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোকে আবেদন করেছেন, "এনপিআর কী, আগে আইনটা জানুন।" তার মধ্যেই প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের এই প্রতিবাদ অন্য মাত্রা যোগ করল।        



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.